ওয়ার্ক ফ্রম হোম করলে বেতনের একাংশ অফিসে আসা সহকর্মীদের দিতে হবে। এমনই আজব নীতি গ্রহণ করেছে জাপানের প্রযুক্তি সংস্থা ডিস্কো (Disco Corp.)। তবে অফিসের এইচ আর-এর এমন ইমেলে একটুও হতবাক হননি কর্মীরা। কেন অবাক হননি সেটা একটু বাদেই জানাচ্ছি।
সেমিকন্ডাকটার প্রস্তুতকারী সংস্থার ব্যাখা করোনা পরিস্থিতিতেও কোনও কোনও কর্মী অফিসে আসছেন। তাঁরা নিজের ও পরিবারের ঝুঁকি নিয়েও কর্তব্য পালন করছেন। তাই যাঁরা ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা পাচ্ছেন, তাঁদের এ বিষয়ে সহানুভূতি দেখানো উচিত্। সেই কারণেই তাঁদের বেতনের কিছুটা অংশ কেটে অফিসে আসা কর্মীদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এইচ আর।
এবার জানাই কেন এমন নীতি গ্রহণ করা সত্ত্বেও একটুই প্রতিবাদ করেননি সংস্থার কর্মীরা। এর কারণ হল, আর পাঁচটা সংস্থার থেকে ডিস্কো অনেকটাই আলাদা। এখানে 'উইল' নামে একটি বিশেষ আভ্যন্তরীণ মুদ্রা চলে। কী করা হয় এই মুদ্রা দিয়ে?
এই সংস্থায়, সেলস ডিপার্টমেন্টের কর্মীরা, কাজ করার জন্য প্রোডাকশানের কর্মীদের টাকা দেন। আবার প্রোডাকশানের কর্মীরা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টকে টাকা দেন প্রোডাক্ট ডিজাইন করতে। আবার প্রোডাক্ট ডিজাইন করে তা সেল হবে কিনা, ইত্যাদি পরামর্শের জন্য ইঞ্জিনিয়াররা টাকা দেন সেলস ডিপার্টমেন্টকে। এভাবে সংস্থার মধ্যে কর্মীরা একে অপরকে কাজের ভিত্তিতে পেমেন্ট করেন।
এরপর কোনও প্রোডাক্ট যখন বিক্রি হয় তার যে মুনাফা হয়, তা বোনাস হিসাবে সংস্থার প্রত্যেক কর্মীকে কাজের মোতাবেক দেওয়া হয়। এই অভিনব পদ্ধতিতে চলে ডিস্কো।
যেহেতু করোনা পরিস্থিতিতে কারখানায় প্রোডাকশনের কাজ বাড়ি থেকে সম্ভব নয়, তাই যাঁরা কারখানায় আসছেন, তাঁদের জন্য একটু বেশি উইল দিতে হচ্ছে বাকি কর্মীদের। পুরোটাই সবার সম্মতিক্রমে।
এমন পেমেন্ট সিস্টেম কখনও শুনেছেন? অবাক হলেন তো?