গত ২৭ জুন জম্মু ও কাশ্মীরে ধারাবাহিক ড্রোন হামলার ছক কষেছিল লস্কর জঙ্গিরা। এমনটাই জানাচ্ছেন এক গোয়েন্দা আধিকারিক। তবে সীমান্ত পার থেকে জঙ্গিদের হ্যান্ডলারদের কথোপকথন ইন্টারসেপ্ট করেন গোয়েন্দারা। তারপরই সেই হামলা রুখতে সক্ষম হয় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। গত ২৭ জুন প্রথমবার ভারতের মাটিতে ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছিল। হামলাটি চালানো হয়েছিল জম্মুতে অবস্থিত বায়ুসেনার বিমান ঘাঁটিতে। সেখানে ছয় মিনিটের ব্যবধানে দুটি বিস্ফোরণ ঘটে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানানো হয়েছে যে একই দিনে আরও বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিল লস্কর জঙ্গিরা। তবে নাদিম-উল-হক নামক এক জঙ্গিকে সাড়ে পাঁচ কেজি বিস্ফোরক সমেত গ্রেফতার করায় অপর হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম হয় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। সেই একই দিনে শোপিয়ান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল নাদিম আয়ুব রাথার এবং বানিহাল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তালিব-উর-রহমানকে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এই সবকটি ঘটনাকে এক সূত্রে গাঁথতে সমর্থ হয়েছে রেডিয়ো ইন্টারসেপ্টের মাধ্যমে। জানা গিয়েছে বিফল হওয়া 'মিশনগুলি'কে পরবর্তীতে সফল করার ছকও কষছে জঙ্গিরা। এদিকে নাদিম-উল-হক নামক ধৃত জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার টার্গেটের বিষয় জানা যায়নি। গোয়েন্দাদের বক্তব্য, লস্কর হ্যান্ডলাররা একটা সময় ততটুকু তথ্যই জঙ্গিকে দেয়, যতটা প্রয়োজন। তাই নাদিমকে টার্গেটের বিষয়ে শেষ সময়ে জানানোর কথা ছিল হ্যান্ডলারের। তবে তার বহু আগেই নাদিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে জম্মু বিমান ঘাঁটি থেকে সাড়ে ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাকিস্তানি এক গ্রাম থেকে ড্রোনগুলি উড়িয়ে ভারতে পাঠানো হয়েছিল। ঘটনার তদন্ত করে সকল তথ্য উদঘাটনের কাজে লেগে রয়েছে এনআইএ। নিজেদের মানুষ যাতে ধরা না পড়ে এবং পাকিস্তানি যোগ অস্বীকার করতে লস্কর, জইশ, আইএসআই আরও বেশ করে ড্রোন হামলার উপর নির্ভরশীল হওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকে ভারতীয় আকাশসীমায় ৩০০ বারেরও বেশি ড্রোন দেখা দিয়েছে। জইশ, লস্কর ছাড়া খালিস্তানিরাও এখন ড্রোন প্রয়োগ করা শুরু করেছে।