প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গড় গুজরাতে ঘটল ভয়ঙ্কর ঘটনা। রোগীর কিডনি থেকে পাথর বের করার পরিবর্তে গোটা কিডনিই বের করে নেওয়া হয়েছে। তার ফলে রোগী মারা গিয়েছেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে যায়। হাসপাতালে রোগী ভর্তি হয়েছিলেন কিডনিতে পাথর নিয়ে। চিকিৎসক অপারেশন করার পরই মৃত্যু হয় রোগীর। রোগী পরিবারের সন্দেহ হওয়ায় আইনের দ্বারস্থ হয়। দেবেন্দ্রভাই রাভাল মারা যান অস্ত্রোপচারের পরে। এই মামলায় গুজরাতের ওই হাসপাতালকে ১১ লক্ষ টাকা জরিমানা করল কনজিউমার ডিসপিউট রিড্রেসাল কমিশন।
ঠিক কী ঘটেছে গুজরাতে? জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে গুজরাতের মহিষাগর জেলার কেএমজি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন দেবেন্দ্রভাই রাভাল। তাঁর কিডনিতে পাথর জমেছি। তাই ওই বছরের মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখেন, একটি ১৫ মিলিমিটারের স্টোন জমেছে তাঁর কিডনিতে। অস্ত্রোপচারেই মিলবে সমাধান বলে জানানো হয় রোগীর পরিবারকে।
চিকিৎসকের পরামর্শ মতো হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। ২০১১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তাঁর কিডনিতে অস্ত্রোপচার হয়। গুজরাটের বালাসিনোরের কেএমজি জেনারেল হাসপাতালে তা হয়েছিল। সেখানেই কিডনির পাথরের পরিবর্তে বের করে নেওয়া হয় শরীরের বাঁ–দিকের গোটা কিডনিই! এই কথা চিকিৎসক স্বীকারও করেন। এমনকী তাঁর বক্তব্য, ‘এটাই রোগীর পক্ষে সবচেয়ে ভাল সিদ্ধান্ত। রোগীর প্রস্রাবের সমস্যা আর হবে না।’
কিন্তু দেখা যায় রোগীর শারীরিক যন্ত্রণা বেড়ে গিয়েছে। তখন ২০১২ সালে দেবেন্দ্রভাই রাভাল ভর্তি হন অন্য এক হাসপাতালে। সেখান থেকেও তাঁকে স্থানান্তর করা হয় আহমেদাবাদের কিডনি ডিজিস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে। কিন্তু এত করেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে। ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি মৃত্যু হয় রোগীর। তারপরই আইনের দ্বারস্থ হয়ে ৯ বছর লড়াই করে সেই মামলায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির দিকে আঙুল তুলল গুজরাত রাজ্য উপভোক্তা কমিশন। আর হাসপাতালকে ১১ লক্ষ টাকা জরিমানা করে তারা।