এক কর্মীর সঙ্গে বচসার জেরে মদ্যপ অবস্থায় একটি পেট্রোল পাম্পে আগুন ধরিয়ে দিলেন এক ব্যক্তি। ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন এক শিশু এবং পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা। ঘটনার দৃশ্য ধরা পড়েছে পেট্রোল পাম্পের সিসিটিভি ফুটেজে। অভিযোগ, পেট্রোল পাম্পের কর্মী অভিযুক্তের হাতে লাইটার দেখে আগুন ধরানো নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। আর তারপরেই অভিযুক্ত লাইটার জ্বালিয়ে দিলে পেট্রোল পাম্পে আগুন ধরে যায়। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ছাড়াও উসকানি দেওয়ার অভিযোগে পেট্রোল পাম্পের এক কর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদে।
আরও পড়ুন: টেরিটি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, কালীপুজোর আগেই সর্বনাশ, ঘটনাস্থলে ১৫টি ইঞ্জিন
কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের নাচারাম এলাকায়। অভিযুক্ত মদ্যপ ব্যক্তির নাম চিরান। তিনি এদিন সন্ধ্যায় নিজের স্কুটি নিয়ে পেট্রোল পাম্পে গিয়েছিলেন। তাকে দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল তিনি মদের নেশায় বেসামাল হয়ে রয়েছেন। পেট্রোল পাম্পের কর্মীদের দাবি, তার হাতে একটি লাইটার ছিল। সম্ভবত সেটি দিয়ে তিনি সিগারেট জ্বালাতে চাইছিলেন। তা দেখে পেট্রোল পাম্পের কর্মী অরুণ তাকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘আপনি কি এখানে লাইটার জ্বালাতে চাইছেন!’ এই নিয়ে দুজনের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়। তখন অরুণ মদ্যপ ব্যক্তিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, ‘যদি সাহস থাকে তাহলে লাইটার জ্বালিয়ে দেখান।’ এই চ্যালেঞ্জ শুনে চিরান সঙ্গে সঙ্গে লাইটার জ্বালিয়ে দেন। ঘটনাক্রমে সেই সময় অরুণ অভিযুক্তের স্কুটিতে পেট্রোল ঢালছিলেন। লাইটার জ্বালানো মাত্রই আগুনের গ্রাসে চলে আসে পেট্রোল। এর ফলে পেট্রোল পাম্পে আগুন লেগে যায়।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনার সময় পেট্রোল পাম্পে দুই কর্মচারীসহ প্রায় ১০ থেকে ১১ জন উপস্থিত ছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজে আগুন লাগার দৃশ্য ধরা পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ঘটনাস্থলের কাছেই একজন মহিলা এবং তার শিশু ছিলেন। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তিনি আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। তারা আগুন লাথি মেরে নেভানোর চেষ্টা করেন। আগুন শিশুর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল অল্পের জন্য রক্ষা পায় শিশুটি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় পেট্রোল পাম্পে।
পরে পুলিশ চিরানকে গ্রেফতার করে। এছাড়া অরুণকেও গ্রেফতার করে। উভয়ের বিরুদ্ধে আগুন এবং বিস্ফোরক দিয়ে দুষ্টুমি করার অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দুজনেই বিহারের বাসিন্দা। তাদের আদালতে পেশ করা হয়। এরফলে ভয়ঙ্কর বিপদ ঘটতে পারতো বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন পুলিশের এক আধিকারিক।