দমকল দফতরের এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। বেসরকারি কোম্পানির এক লিয়াজঁ অফিসার ওই দমকল আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পিএনজি কানেকশন ও নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের জন্য তার কাছ থেকে ঘুষ চাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। মহারাষ্ট্রের মুম্বইতে এই অভিযোগ উঠেছিল।
দুর্নীতি দমন ব্যুরোর মুম্বই ইউনিটের তরফে ওই দমকল আধিকারিককে ধরা হয়। একটি হোটেলে অগ্নিনির্বাপন সংক্রান্ত অনুমতি দেওয়ার বিনিময়ে ওই দমকল আধিকারিক মোটা টাকা চেয়েছিল বলে খবর।
এদিকে ঘুষের টাকা নেওয়ার পরেও ওই দমকল অফিসারের কেমন যেন সন্দেহ হয়। তিনি বাড়ি ফিরে যান। এরপর তিনি ঘুষের ৬০,০০০ টাকা টয়লেটে দিয়ে ফ্লাশ করে দেন। এরপর এসিবির অফিসাররা ওই বিল্ডিংয়ের চেম্বার থেকে প্রায় ৫৭,০০০ টাকা বাজেয়াপ্ত করেন।
এদিকে ওই লিয়াজঁ অফিসার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেন। বোরিভালি পশ্চিমের একটা হোটেল মালিক পিএনজি কানেকশনের অনুমোদনের জন্য একটি আবেদন করেছিলেন। অনলাইনে ফায়ার ব্রিগেড পোর্টালে এই আবেদন করা হয়।
এরপর সিনিয়র সেন্টার অফিসার প্রহ্লাদ শিতোলের সঙ্গে দেখা করেন ওই ব্যক্তি। তিনি দমকলে চাকরি করেন। এরপরই কানেকশন দেওয়ার বিনিময়ে তিনি বিপুল টাকা চান। সেই মতো তাকে টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে তার এনিয়ে সন্দেহ হয়। এরপরই তিনি বাড়ি ফিরে সেই টাকা টয়লেটে ফ্লাশ করে দেন। কিন্তু তারপরেও রক্ষা পেলেন না তিনি। চেম্বার থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।