পড়াশোনার বদলে মোবাইল ফোনেই বেশি সময় কাটাত কিশোরী। তাই বকাঝকা করছিলেন মা। সেই অপমান সইতে না পেরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হল ওই কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের থানের অম্বরনাথ এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, বিষ খাওয়ার পর বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিল ওই কিশোরী। পরে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ৪৫দিন ঘুমোইনি, অফিসের চাপ নিতে পারছি না,নিজেকে শেষ করে দিলেন লোন কোম্পানির স্টাফ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবারের লোকজন বিষ খাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার উন্নতি হলে মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর ইঁদুর মারার বিষ খেয়েছিল মেয়েটি। কয়েকদিন ধরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর গত ২ অক্টোবর মারা যায় কিশোরী। সেই ঘটনাই ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়েছে পুলিশ। তার ভিত্তিতে পুলিশ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর একটি মামলা নথিভুক্ত করেছে।
পুলিশে জানিয়েছে, মোবাইল ব্যবহার করা নিয়ে তার মা তাকে বকাঝকা করেছিলেন। তা নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে ওই কিশোরী। পরে অভিমানে মেয়েটি বাড়িতে থাকা ইঁদুরের বিষ খেয়ে ফেলে। বিষয়টি জানা জানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। তড়িঘড়ি তাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল ও পরে মুম্বইয়ের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত মাসে হুবলিতে একজন কিশোর আত্মহত্যা করেছিল। ওই কিশোরের বাবা ও মা একইভাবে মোবাইলে অতিরিক্ত সময় কাটানোর জন্য বকাঝকা করেছিলেন। সেই অভিমানে আত্মঘাতী হয়েছিল ছেলেটি। বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নাবালক এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে এই প্রবণতা বাড়া নিয়ে সতর্ক করেছেন মহারাষ্ট্র পুলিশের একজন আধিকারিক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এনিয়ে অভিভাবকদের আরও বেশি সংবেদনশীল হতে হবে। অভিভাবকদের তাদের বাচ্চারা অতিরিক্ত সেলফোন ব্যবহার করলে তাদের প্রতি কড়া নজর রাখার প্রয়োজন। শিশুরা যাতে মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে না পড়ে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এমন ঘটনা চারপাশে ঘটছে। কিছু শিশু তাদের বাবা-মায়ের দ্বারা বকাঝকা করার পরে বাড়ি থেকে আবার পালিয়ে যায়। এই ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে, কাউন্সেলিং এবং পরামর্শের মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞের।