কয়েকদিন আগেই ধর্মীয় সম্প্রীতি নিয়ে ভারতকে লেকচার দিতে গিয়ে পালটা ধমক খেয়েছিল পাকিস্তান। সেই পাকিস্তানেই এবার এক হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর হল বলে রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। বুধবার করাচির ওরাঙ্গি এলাকায় একটি হিন্দু মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, হামলার সময় দেব-দেবীর মূর্তিও ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে যাতে আর কোনও ঝামেলা না হয় সেজন্য ব্যাপকভাবে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়।
করাচিতে হিন্দু মন্দিরে এই হামলা এমন এক সময় হল যখন নূপুর শর্মার মন্তব্য নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সরব হয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তান ভারতকে এই ইস্যুতে ‘জ্ঞান’ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। যদিও ভারত পাকিস্তানের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল। উলটে পাকিস্তানকে তাদের দেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের যত্ন নিতে বলেছিল ভারত। আর সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ হল।
করাচির ওরাঙ্গি এলাকায় বসবাসকারী সঞ্জীব পাকিস্তানি সংবাদপত্র এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে বলেন, ৬ থেকে ৮ জন মোটরসাইকেলে এসে মন্দিরে ভাঙচুর চালায়। তিনি বলেন, কে বা কারা এ হামলা করেছে তা আমরা জানি না। এই হামলার পর আমরা থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করি। এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে এসএইচও ফারুক সানজরানি বলেন, 'অজ্ঞাতনামা ৫ থেকে ৬ জন মন্দিরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়।' প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে প্রায়ই হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে থাকে। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে সিন্ধু নদীর তীরে কোটরিতে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মন্দিরও ভাঙচুর করা হয়েছিল।