উচ্চাকাঙ্খা ছিল। কিন্তু চাপ নিতে পারল না ছাত্রটি। অবশেষে আত্মহত্যার পথকেই বেছে নিল ১৯ বছর বয়সের ছাত্রটি। কারণ আর পারছিল না পড়াশোনার চাপ সহ্য করতে। এভাবেই মর্মান্তিক মৃত্যুর দিকে চলে গেল আইআইটি খড়গপুরের ছাত্রটি। এদিন মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে বাড়ির বারান্দা থেকে উদ্ধার হল ওই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অবসাদে ভুগছিলেন এই আইআইটি’র পড়ুয়া। সেখান থেকেই এই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় সে। বাড়ি থেকে একটি দু’পাতার সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। সেটা পড়েই বোঝা গিয়েছে তিনি অবসাদে ভুগছিলেন। সেখানে পড়াশোনা নিয়ে নিজের অবসাদের কথা তুলে ধরা হযেছে। চাহিদা পূরণ করতে না পেরেই হতাশা নেমে আসে তাঁর জীবনে। সেখানে লেখা আছে, ‘আর চাপ নিতে পারলাম না।’
ওই সুইসাইড নোটে নিজের পরিবারের কথা উল্লেখ করেছেন পড়ুয়া। সেখান থেকে জানা যায়, তাঁর বাবা নর্মদা ভ্যালি ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনে চাকরি করেন। বাড়ি থেকেই অনলাইন ক্লাস করছিল আইআইটি’র পড়ুয়া। তদন্তে নেমেছেন পুলিশকর্তারা। কয়েকদিন আগে নিজের অবসাদ এবং চাপের কথা তিনি এক বন্ধুকে বলেছিলেন বলে সূত্রের খবর। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
উল্লেখ্য, ইদানিং পড়াশোনার চাপ অনেকেই নিতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠছে। তা থেকে নেমে আসছে পড়ুয়াদের মধ্যে হতাশা। জীবনের টার্গেট পূরণ করতে না পারলেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন কৃতী পড়ুয়ারা। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট বলছে, ২০১৭–১৯ সালের মধ্যে ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী ২৪ হাজারের বেশি পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছেন। আর সবটাই, হতাশা থেকে।