ডুয়ার্সের চা বাগান ও সংলগ্ন এলাকার ঝোপে ঝাড়ে মাঝেমধ্যেই লুকিয়ে থাকে চিতাবাঘ। সুযোগ পেলে মানুষের উপর লাফিয়েও পড়ে তারা। আঁচড়ে, কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে। তবে এবার একেবারে মগডালে উঠে পড়েছিল চিতাবাঘ। স্থানীয় সূত্রে খবর, ডুয়ার্সের মালবাজারে ইংডং চা বাগানের পাশের রাস্তা দিয়ে গাড়ি করে ফিরছিলেন কয়েকজন। আচমকাই গাছের মগডালের দিকে নজর যায় তাদের। আর তারপরই তীব্র আতঙ্ক ঘিরে ধরে তাদের। গাছের উপরে বসে রয়েছে আস্ত চিতাবাঘ। এদিকে একটু এদিক ওদিক হলে ওই চিতাবাঘও ঝাঁপিয়ে পড়়তে পারে তাদের উপর।
তবে চিতাবাঘটিও ঠিক তাকিয়ে ছিল তাদেরই দিকে। এরপর সেই গাছের ডাল থেকে সোজা ঝাঁপ। একেবারে গাড়ির সামনে এসে ঝাঁপ দেয় চিতাবাঘটি। তবে গাড়ির ভেতরে থাকায় অল্পের জন্য বেঁচে যান তারা। কিছুক্ষণ পরে লাফ দিয়ে পাশের চা বাগানের মধ্যে ঢুকে পড়ে চিতাবাঘটি। এতক্ষণে কিছুটা হলে স্বস্তি পান যুবকরা। কিন্তু আতঙ্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না।
চিতাবাঘের মুখোমুখি হলে কী হতে পারে তার ধারণা আছে ডুয়ার্সবাসী অনেকেরই। কার্যত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন তারা। তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগেও উত্তরবঙ্গের একাধিক এলাকায় মগডালে উঠে পড়েছে চিতাবাঘ এরকম একাধিক নজির রয়েছে।
বিগত দিনে কোচবিহারের কালজানিতেও একটি চিতাবাঘ বাঁশ গাছের উপর উঠে পড়েছিল। পরে সেটি ঝাঁপ দিয়ে ঝোপের মধ্য়ে লুকিয়ে পড়েছিল। কুনকি হাতি দিয়েও সেই চিতাবাঘের খোঁজ চলেছিল। কিন্তু তারপরেও তার খোঁজ মেলেনি। এদিকে গত তিন মাসে অন্তত ৫বার ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় চিতাবাঘের হানার নজির রয়েছে।