বিজেপি তার প্রত্যাশিত ফল পায়নি এবারের ভোটে। গোটা দেশে মোদী ম্যাজিক কাজ করেনি। তবে লড়াই হয়েছে জোরদার। অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে ইন্ডিয়া জোট। কংগ্রেসের আসন বেড়েছে। বিজেপির আসন কমেছে। আবার ক্ষমতায় এসেছে এনডিএ। শরিকের কাঁধে ভর দিয়ে চলতে হবে বিজেপিকে। বিরোধীরা ভোট প্রচারের সময় কতটা মর্যাদা পেয়েছে সেটা নিয়েও প্রশ্ন। আগামী দিনে এনডিএ সরকার আরও কতটা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সেটা নিয়েও নানা প্রশ্ন। এসব নিয়ে কী বলছে আরএসএস? মুখ খুললেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত।
আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত জানিয়েছেন, 'গণতন্ত্রের একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া হল ভোট। এখানে যেহেতু দুটো পক্ষ রয়েছে সেকারণে লড়াই হবে। এদিকে লড়াই হওয়ার জন্য কাউকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই হবে। কিন্তু তার মধ্য়ে একটা মর্যাদা থাকবে। মিথ্যে বলা ঠিক নয়। সংসদে যাওয়ার জন্য় প্রতিনিধি বাছতে মানুষ ভোট দেন যারা আমাদের দেশকে পরিচালনা করবেন। তবে এই লড়াইটা যুদ্ধ নয়। তবে একে অপরের বিরুদ্ধে যেভাবে সমালোচনা করা হয়, যেভাবে প্রচার করা হয়…এগুলি বিচার্য বিষয় হওয়া ঠিক নয়। আরএসএসকেও এর মধ্যে টেনে আনা হয়…প্রযুক্তির সহায়তায় মিথ্যে প্রচার করা হয়…আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হয়। একটা দেশে এটা কীভাবে হতে পারে? '
তিনি বলেন, ‘একে বিরোধী বলে…তারা বিরোধী তারা একদিকটা তুলে ধরছে। তাদের মতামতটাও আসা দরকার। কিন্তু সেই মর্যাদা রক্ষা করা হয় না। …ওই মর্যাদা পালন হওয়া খুব দরকার আবার সেই একই সরকার এল ক্ষমতায় এনডিএ…ঠিক আছে..এটা ঠিক যে ১০ বছর অনেক ইতিবাচক কিছু হয়েছে দেশে…আর্থিক পরিস্থিতি অনেক ভালো হয়েছে। সামরিক স্থিতি আগের থেকে ভালো হয়েছে। সংস্কৃতি, ক্রীড়া জ্ঞান বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশ্বের মধ্যে আমরা জায়গা পেয়েছি। বিশ্বের নানা দেশ আমাদের এখন মান্যতা দেয়… তবে তার মানে এটা নয় যে এখন আমরা সব চ্যালেঞ্জ থেকে মুক্ত।…’
এদিকে এর আগে ভোট প্রচারে আরএসএস নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নাকি আরএসএসের সম্পর্ক বেশ ভালো। বামেরা বার বারই একথা বলেন। তাঁর জমানাতেই নাকি বাংলায় আরএসএসের এত বাড়বাড়ন্ত। এসব বামেদের অভিযোগ। তবে এবার সেই আরএসএস নিয়ে মুখ খুলছিলেন মমতা। তিনি দাঁতনে দলীয় প্রার্থী জুন মালিয়ার সমর্থনে প্রচারে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, আগে ভাবতাম আরএসএস মানে ত্যাগী। ওদের মধ্যে কিছু ভালো লোক ছিল। কিন্তু আজকে ভোগ করতে করতে ভোগী হয়ে গেছে।