ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটল নাগপুরে। বাড়িতে ঢুকে বোনের সামনে ৯ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের পর মুখ বন্ধ রাখার জন্য নির্যাতিতার বোনকে ২০ টাকা দিয়ে চম্পট দিল অভিযুক্ত। রবিবার বিকেল ৪ টের দিকে পারদি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। তবে ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে গ্রেফতারের জন্য তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ কমিশনার রবিন্দর সিঙ্গল নিজেই মামলাটি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘নিজের বেস্ট দিয়েছিল, আমারও ২ মেয়ে আছে, আমি ফিল করতে পারি’, হতাশ অভিজিতের স্ত্রী
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার বাবা-মা পেশায় দিনমজুর। প্রতিদিন তারা বাড়িতে মেয়েদের রেখে কাজে চলে যান। রবিবারও তারা দুই মেয়েকে বাড়িতে রেখে কাজে চলে গিয়েছিলেন। ঠিক সেই সময় অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তি তাদের বাড়িতে ঢুকে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, পরিবারটি গোন্দিয়ার বাসিন্দা। কয়েক বছর আগে বেঁচে নির্যাতিতার বাবা দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন। পরে নাগপুরে ফিরে যায় পরিবারটি। প্রায় তিন মাস আগে পরিবারটি নাগপুরে ফিরে আসে। এদিনের এই ঘটনার পরেই যন্ত্রণায় ছটফট করতে শুরু করে নির্যাতিতা। বাবা-মা বাড়িতে ফিরলে তাদের সবকিছু জানায় সে। তখন পরদি থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান নির্যাতিতার বাবা। পরে পুলিশ নির্যাতিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠায়। পরীক্ষায় ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকরা। নাবালিকার অন্তর্বাসে রক্তের দাগ ছিল।
নির্যাতিতার ৫ বছর বয়সি বোনের বর্ণনার উপর ভিত্তি করে পুলিশের অনুমান, মারাঠি-ভাষী ওই অভিযুক্ত আগে থেকেই জানত যে মেয়েরা দিনের বেলা একা থাকে। কারণ তাদের বাবা-মা কাজের জন্য বাইরে থাকেন। অভিযুক্ত পূর্ব পরিচিত। আরও জানা যায়, অভিযুক্ত বাবা-মা বাড়িতে আছে কিনা জিজ্ঞাসা করার অজুহাতে তাদের ভাড়া বাড়িতে প্রবেশ করেছিল।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ৮ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনাটি ১০ সেপ্টেম্বর ঘটেছিল। তবে মেয়েটি যন্ত্রণায় ছটফট করলে তার বাবা মা থানায় অভিযোগ জানান। তার ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।