করমন্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা চলতি বছরে এক ভয়ের রেশ ধরে রেখেছে অনেকেরই মনে। এদিকে, সদ্য ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জে বড়সড় বিপত্তি এড়ানো গেল। সেখানে হঠাৎ ইঞ্জিন ছাড়াই ছুটল যাত্রীবাহী ট্রেনের ৪ বগি ও মালগাড়ির একটি ওয়াগন। পূর্ব রেলের বারহারোয়ার কাছে এই ঘটনা ঘটে গিয়েছে। খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের কর্মীরা।
রেল সূত্রের খবর সেখান সান্টিং হচ্ছিল। যে এলাকায় এটি ঘটেছে সেটি ইয়ার্ডের এলাকা। সেই লাইনটি সাধারণ ট্রেন চলাচলের লাইনে নয়। রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, রেক ল্যান্ডিং ট্র্যাকে গত ১০ থেকে ১৫ দিন ধরে একটি মালগাড়ির বগি রাখা ছিল। ওই ট্র্যাকেই ছিল যাত্রীবাহী ট্রেনের চার কোচ। কোচগুলিকে সেখানে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাখা হয়েছিল। এদিকে, সোমবার দেখা যায়, হঠাৎই মালগাড়ির একটি বগি ট্র্যাকের উপর চলতে শুরু করেছে। এই লাইনেই ট্রেনের চারটি বগিকে সজোরে ধাক্কা দেয় ওয়াগনটি। তখনই জোর ধাক্কা খেয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের ৪ টি বগি আচমকা চলতে শুরু করে। রেল লাইনের উপর দিয়ে আচমকা এই ট্রেন এভাবে চলতে শুরু করে। তবে অবাক কাণ্ড এখানেই শেষ নয়! ২০০ মিটারের বেশি চলে যায় ওই ট্রেন। বারহারোয়া-রাজমহল রোডও তারা পার করে যায়। বিপজ্জনক বিষয় হল, সেখানে লেভেল ক্রসিং-এ তখন গেট পড়েনি। ভিড়ে ঠাসা এলাকা দিয়ে ওভাবে এগোতে থাকে ট্রেন। শেষে স্টেশনের একেবারে কাছে গিয়ে থামে ট্রেনের বগিগুলি। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। অনেকেই অবাক হয়।
( Viral Optical Illusion: ছবিতে সাপটি কোথায় আছে ৫ সেকেন্ডে বলতে পারবেন? রইল ভাইরাল অপটিক্যাল ইলিউশন)
সেই সময় ট্র্যাক দিয়ে যদি কোনও প্যাসেঞ্জার ট্রেন যেত, তাহলে তা বড়সড় বিপত্তি ডেকে আনতে পারত। এমন আশঙ্কা অনেকের। এদিকে, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের পদস্থ আধিকারিকরা। প্রশ্ন ওঠে ওই মালগাড়ির নিজে থেকে চলতে শুরু হওয়া ও ওই বগিগুলির নিজে থেকে থেমে যাওয়া নিয়ে। কীভাবে ট্রেনের বগি এভাবে চলতে শুরু করল? কীভাবেই বা তা আচমকা থেমে গেল? তার খোঁজ করছে রেল।