ভয়াবহ খুনের ঘটনা ত্রিপুরায়।পরিবারের চারজন সদস্যকে খুন করার অভিযোগ উঠছে পরিবারের এক নাবালক সদস্যের বিরুদ্ধে উঠেছে। ১৫ বছর বয়সী ওই নাবালককে আটক করেছে পুলিশ। মা, বোন, দাদু ও এক আত্মীয়কে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ওই নাবালকের বিরুদ্ধে। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে ৯০ কিমি দূরে দুরাই শিববাড়ি এলাকায় এই ভয়াবহ ঘটনা।
খুন করে দেহ উঠোনে পুঁতে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। রাতের এই ভয়াবহ ঘটনাকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। মৃতরা হলেন নাবালকের দাদু বাদল দেবনাথ(৭০), মা শমিতা দেবনাথ(৩২), বোন সুপর্ণা দেবনাথ(১০) ও অপর এক আত্মীয় রেখা দেব(৪২)। উঠোনের কাছে একটি উঠোনের গর্তে তাদের দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
অ্যাসিস্ট্যান্ট ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ জ্যোতিষ্মান দাস চৌধুরী জানিয়েছেন, পালিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত নাবালক। কমলপুর থানায় একটি খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে খুনের পেছনে কী কারণ রয়েছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা ওই কিশোর মোবাইল গেমে আসক্ত। বাড়িতে তার বাবা ছিল না। সেই সময় সেই এই ভয়াবহ কীর্তি করে বলে অভিযোগ। পরে পালিয়ে যায়। তার বাবা এসে রক্তের দাগ দেখে বিষয়টি বুঝতে পারেন।
গ্রামবাসীদের দাবি, সাড়ে ৯টা সময় বাড়িতে প্রচন্ড জোরে মিউজিক বাজছিল। সম্ভবত আর্তনাদ চাপা দেওয়ার জন্যই ওই কিশোর এই পরিকল্পনা নিয়েছিল। ভোঁতা কোনও অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে তাদের। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই মনে করছে পুলিশ।