দিল্লিতে এক মসজিদে ১২ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে।সেই ধর্মগুরুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।আদালত ওই অভিযুক্তকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত রবিবার ১২ বছরের ওই নাবালিকা জল খেতে গিয়েছিল উত্তর-পূর্ব দিল্লির মসজিদের ভিতর। অভিযোগ, তখন ওই ধর্মগুরু তাঁকে ভিতরে ডেকে নিয়ে যান ও ধর্ষণ করেন।এরপর বাড়ি ফিরে আসে ওই নাবালিকা।বাড়ি ফিরেই মা-বাবাকে গোটা বিষয়টি জানায় ওই নাবালিকা।সংবাদসংস্থা সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ওই নাবালিকার কাউন্সেলিং করা হয়েছে।তাঁর মেডিকেল টেস্ট হয়েছে।পরিবারের লোকেরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।গোটা ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।মসজিদের সামনে জড়ো হন স্থানীয় বাসিন্দারা।তাঁরা দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশ।মসজিদের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজস্থানের ভরতপুরের বাসিন্দা ওই ধর্মগুরুকে গাজিয়াবাদের লোনি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।অভিযুক্ত ধর্মগুরু বিবাহিত ও তাঁর চারটি সন্তান রয়েছে।ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা ও পকসো আইনে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।এভাবে নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় এলাকায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।অনেকেই অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।