মহারাষ্ট্রের পুনের স্কুলের ভিতরে ঢুকে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পরেই থানায় স্কুল ছাত্রীর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছে তার পরিবার। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত যুবকের পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। তবে স্কুলের মধ্যে কীভাবে বাইরের এক যুবক ঢুকে গেল তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনায় স্কুলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পুনের শিবাজিনগর থানার পুলিশ আধিকারিক অনিতা মোড়ে জানান, নির্যাতিতা ছাত্রীর বয়স ১১ বছর। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার। স্কুল চলাকালীন এক যুবক স্কুলের মধ্যে ঢুকে গিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীর যৌন নির্যাতন করে। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ওই নাবালিকাকে হুমকিও দিয়েছিল যুবক। পরে নির্যাতিতা তার বান্ধবীদের ঘটনাটি জানালে তারাই স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায়। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নির্যাতিতার অভিবাবকদের জানালে তারা থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ স্কুলের মধ্যে ঢুকে পড়ে ওই যুবক। নিজেকে তিনি নাবালিকার বাবার বন্ধু বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। প্রথমে ওই যুবক নাবালিকাকে বাথরুমে নিয়ে যেতে চাইলে তাতে আপত্তি জানায় নাবালিকা। পরে কোনওভাবে তাকে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে জোর করে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের পরিচয় জানতে স্কুলের সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় ধর্ষণ সহ পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে বলে ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুসারে পুনেতে নাবালিকাদের উপর নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে চলেছে ২০২০ সালে যেখানে ১১০টি এই ধরনের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল সেখানে ২০২১ সালে ১৩৭টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।