ধর্মে তিনি মুসলিম। তাতে কী! রামমন্দিরের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি ছুঁয়ে গিয়েছে তাঁকেও। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের সারদা পীঠ কুন্ড থেকে পবিত্র জল সংগ্রহ করেছেন তিনি। সেই পবিত্র জল তিনি ব্রিটেন থেকে ভারতে পাঠিয়েছেন। নানা মাধ্য়মে তিনি এই পবিত্র জল পাঠিয়েছেন। সেই জলও রামমন্দিরে শ্রী রামচন্দ্রের প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন ব্যবহার করা হবে।
সেভ শারদা কমিটি কাশ্মীরের প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রর পান্ডিতা জানিয়েছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্য়ে ডাক পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ । সেকারণেই নানা পথে ওই জল পাঠানো হয়েছে। ২০১৯ সালের পুলওয়ামার ঘটনার পর বালাকোটের ঘটনার পর থেকেই এই ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। খবর এনডিটিভি সূত্রে।
ওই পবিত্র জল তনবীর আহমেদ ও তাঁর টিম সংগ্রহ করেছিলেন শারদা কুন্ড থেকে। এরপর সেটা ইসলামাবাদে নিয়ে আসা হয়। এরপর সেটা তাঁর মেয়েকে ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়। এরপর সেই কন্য়া সোনাল শের নামে এক কাশ্মীরি পন্ডিতকে পাঠান। এরপর গত বছর অগস্ট মাসে তিনি আমেদাবাদে সেই জল পৌঁছে দেন। এরপর সেই জল আসে দিল্লিতে। জানিয়েছেন পন্ডিতা।
তিনি জানিয়েছেন, এই পবিত্র জল সরাসরি পাকিস্তানে থেকে ভারত থেকে আনা যায়নি। পোস্টাল সার্ভিস বন্ধ থাকার জেরে সেই জল সরাসরি আসতে পারেনি। সেই জল প্রথমে ইংল্যান্ডে যায়। সেখান থেকে ভারতে পাঠানো হয়। তিনি জানিয়েছেন, এর আগে সেখানকার মাটি, শিলা এবার জল পাঠানো হল। এটা গর্বের। এই পবিত্র জল ২২ জানুয়ারি ব্যবহার করা হবে। পন্ডিতিয়া জানিয়েছেন, এসএসসিকে সদস্য মঞ্জুনাথ শর্মা এই জল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। সেটা আবার অযোধ্য়া ট্রাস্টের অন্য়তম কর্তা কোটেশ্বর রাওয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।
পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে এসেছে পবিত্র জল। এক মুসলিম ধর্মাবলম্বীর সংগ্রহ করা জলই ব্যবহার করা হবে রামমন্দিরে।
সেই সঙ্গেই এসএসসিকে সদস্যরা শারদা মন্দিরে প্রদীপ জ্বালাবেন। এটা কুপওয়ারা জেলার নিয়ন্ত্রণরেখার কাছেই।