গুজরাতে গো হত্যা নিষিদ্ধ। তারপরেও প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে চলছে গো মাংস বিক্রি। কোনও সংস্থায় বাজেয়াপ্ত হওয়া মাংস গরুর কিনা তা নিশ্চিত করতে এতদিন একদিন সময় লেগে যেত। তবে নতুন পদ্ধতিতে মাত্র এক ঘণ্টাতেই জানা সম্ভব হচ্ছে বাজেয়াপ্ত হওয়া মাংস গরুর কিনা। দেশের মধ্যে প্রথম গুজরাতের আমেদাবাদ এবং গান্ধীনগরে এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এই পদ্ধতির নাম হল এলএএমপি ডিএনএ পদ্ধতি। এটি সেরোলজিক্যাল এবং ডিএনএ পরীক্ষার মতো প্রচলিত পদ্ধতির থেকেও ভালো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গোমাংস খাওয়া নিয়ে বিস্ফোরক দাবি RSS নেতার, নন-ভেজ খেতেই পারেন…
ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটির (এনএফএসইউ) একজন সিনিয়র অধ্যাপক নিকুঞ্জ ব্রহ্মভট্ট এখনও পর্যন্ত অন্য কোনও রাজ্যে এই পদ্ধতি চালু করা হয়নি। ফলে গুজরাতেই তা প্রথম বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি জানান,বছরের পর বছর ধরে ফরেনসিক সায়েন্স ডিরেক্টরেট অফ ফরেনসিক সায়েন্সেসের (ডিএফএস) ডিএনএ বিভাগে কাজ করার পরে এই পদ্ধতি আবিষ্কার করা হয়েছে। তবে গুজরাতের অধিকাংশ জায়গাতেই পুরনো পদ্ধতি ব্যবহার হলেও নতুন পদ্ধতিতে আরও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
পুরনো পদ্ধতি সঙ্গে তুলনা টেনে নিকুঞ্জ বাবু জানান, আগে নমুনা সংগ্রহ করার পর তা বিশ্লেষণের জন্য দীর্ঘক্ষণ রাখা হতো। তবে এলএএমপি ডিএনএ পদ্ধতি ব্যবহার করে ঘটনাস্থলেই নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। কাঁচা মাংস তো বটেই এমন কি রান্না করা মাংসের নমুনা সংগ্রহ করেও তা গরুর কিনা শনাক্ত করা সম্ভব বলে তিনি জানিয়েছেন।