গুজরাট উপকূলের কাছে পাকিস্তানি নৌকা থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হল। উদ্ধার করা হল ৩০০ কোটি টাকার মাদক। সেইসঙ্গে ওই নৌকায় থাকা ১০ জনকে পাকড়াও করা হয়েছে। আপাতত ওখা বন্দরে ওই ১০ জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার ভোররাতের দিকে গুজরাট উপকূলের কাছে ওই নৌকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, গুজরাটের সন্ত্রাস-বিরোধী স্কোয়াডের (গুজরাটের এটিএস) নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতে (ইংরেজি মতে) উপকূলের কাছে দ্রুতগতির নজরদারি জাহাজ ‘আইসিজিএস অরিঞ্জয়’ মোতায়েন করা হয়। যে এলাকা আন্তর্জাতিক জল সীমান্তের (ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম বর্ডার লাইন) কাছে অবস্থিত।
ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার ভোররাতের দিকে ভারতীয় জলসীমায় পাকিস্তানের মাছ ধরার নৌকা ‘আল সহেলি’-কে দেখা যায়। তা দেখতে পেয়েই ওই নৌকা থামানোর চেষ্টা করে ভারতের নজরদারি জাহাজ। কিন্তু পালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তানি নৌকা। এমনকী সতর্ক করার পরও পাকিস্তানি নৌকা থামোনা হয়নি। তাতে অবশ্য রেহাই মেলেনি। ওই পাকিস্তানি নৌকাকে ধরে ফেলে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।
আরও পড়ুন: এবার কথায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক! পাকিস্তানি সাংবাদিকের মুখে সেলোটেপ দিলেন জয়শঙ্কর
ওই নৌকা থেকে কী কী উদ্ধার করা হয়েছে? ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, নৌকা থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১০ কিলোগ্রাম মাদক। যে মাদকের মূল্য ৩০০ কোটি টাকা। আরও তদন্তের জন্য নৌকার ১০ সদস্য এবং নৌকাটি ওখা বন্দরে আনা হয়েছে বলে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মাসে এই নিয়ে সাতবার যৌথভাবে অভিযান চালাল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং গুজরাটের সন্ত্রাস-দমন শাখা। এই প্রথমবার অস্ত্রশস্ত্রের সঙ্গে মাদকও উদ্ধার করা হল। ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, গত ১৮ মাসে মোট ৩৪৬ কেজি হেরোইন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যে মাদকের মূল্য ১,৯৩০ কোটি টাকা। সেইসঙ্গে ৪৪ জন পাকিস্তানি এবং সাত ইরানিয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।