জাল পাসপোর্ট এবং আধার কার্ড বানিয়ে ভারতে গত ১০ বছর ধরে বসবাস করছে একটি পরিবার। কিন্তু, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ওই পরিবারের একজন পাকিস্তানি নাগরিক এবং তার স্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিক। স্ত্রী এবং শ্বশুর শাশুড়ির সঙ্গে আসল নাম ও পরিচয় গোপন করে পাক নাগরিক থাকছিলেন বেঙ্গালুরর শহরতলী জিগানিতে। সেই খবর জানতে পেরে তাদের গ্রেফতার করল পুলিশ। এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন: ইছামতী নদী পার করে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ, গাইঘাটায় গ্রেফতার ৪ বাংলাদেশি
পুলিশ তাদের জাল পাসপোর্ট এবং আধার কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে। ধৃতদের নাম হল- রশিদ আলি সিদ্দিকী (তার ভারতীয় পাসপোর্টে নাম রয়েছে শঙ্কর শর্মা), তার স্ত্রী আয়েশা হানিফ (আশা শর্মা), এবং তার বাবা হানিফ এবং মা রুবিনা। তদন্তে জানা গিয়েছে, তারা ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল। পরে বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার আগে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তারা দিল্লিতে বসবাস করেছিল।
চেন্নাই অভিবাসন দফতরের আধিকারিকদের কাছ থেকে এ বিষয়ে তথ্য জানতে পেরে পুলিশ অ্যাকশনে নেমে পড়ে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই দম্পতি ঢাকায় বিয়ে করেছিলেন। তারপরে তারা জাল নথি বানিয়ে ভারতে এসে থাকছিলেন। পুলিশের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, জাল নথিপত্র নিয়ে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন পরিবারের চার সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং সেই চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পাকিস্তানি ওই পরিবারটি জিগানিতে একটি ভাড়া বাড়িতে ৬ বছর ধরে বসবাস করছিল। ধৃত পাকিস্তানি নাগরিক হওয়ায় তার অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ওই অফিসার জানিয়েছেন, তারা একটি গ্যারেজে বিভিন্ন সরঞ্জাম সরবরাহ করত। এ বিষয়ে আরও তদন্ত করা হচ্ছে। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন। তিনি জানান, তারা কীভাবে এল? কেন এসেছে? এসব তদন্ত করা হবে। যদি তারা গত ১০ বছর ধরে ভারতে থাকে তাহলে সেটা গোয়েন্দারা কেন টের পায়নি তানিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এর পাশাপাশি তারা কীভাবে ভারতীয় জন নথি পেল? এর সঙ্গে কারা কারা জড়িত? সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এর জন্য গোয়েন্দাদের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন কর্ণাটকের মন্ত্রী।