মাঝ আকাশে বিমানের দরজা খোলার চেষ্টা করলেন এক যাত্রী। শুধু দরজা খোলার চেষ্টায় নয়, অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গেও অভব্য আচরণ করলেন। ইন্দোর থেকে হায়দরাবাদগামী বিমানে ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১ মে। তবে গত শুক্রবার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাত্রী এবং বিমান কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। বিমান অবতরণের আগে পর্যন্ত ওই যাত্রীকে আটকে রাখেন বিমান কর্মীরা। পরে বিমানটি অবতরণের পর ওই যাত্রীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: অবতরণের আগেই মাঝ আকাশে আপৎকালীন দরজা খোলার চেষ্টা বাংলার বাসিন্দার!
জানা গিয়েছে, ২৯ বছর বয়সি ওই যুবক হায়দরাবাদের বাসিন্দা। তিনি বন্ধুদের সঙ্গে ইন্দোরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে হায়দরাবাদে ফেরার সময় এমন ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, বিমানটি ইন্দোর থেকে উড়ান শুরু করার পরেই যাত্রী অভব্য আচরণ করতে শুরু করেন। তিনি অন্যান্য যাত্রীদের গায়ে কখনও চিপস আবার কখনও জল ছুড়তে শুরু করেন। ঘটনায় আশেপাশের যাত্রীরা বিরক্ত হন। তার এরকম আচরণের জন্য বিমান কর্মীরা তাকে দুবার সতর্ক করেন। পরে তার আসনটি পরিবর্তন করা হয়। এরপরেও ওই যাত্রী দুই বন্ধুর পাশে বসার জন্য জোর করতে থাকেন। তার পরেই ঘটে বিপত্তি।
বিমানটি রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কয়েক মিনিট আগেই বিমান সংস্থার কর্মীদের তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এরপর বিমানের দরজা খোলার চেষ্টা করেন। তখন বিমান কর্মীরা তাকে বাধা দেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিমানের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই যাত্রী একজন মানসিক রোগী। তার চিকিৎসা চলছিল। চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় তার কাছে ছিল। পাশাপাশি তিনি নেশাগ্রস্থ ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। এরপর বিমানটি রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর বিমান কর্মীরা সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ জানান। পরে পুলিশ গিয়ে ওই যাত্রীকে গ্রেফতার করে। তবে শুক্রবার তাকে জামিন দিয়েছে আদালত।
রাজীব গান্ধী বিমানবন্দর থানার একজন ইন্সপেক্টর জানান, যাত্রীর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির এবং সিভিল অ্যাভিয়েশন আইনের অধীনে মামলার রুজু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পারে, বিমানে ওঠার আগে মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন তিনি। ঘটনায় আরও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।