গোঁফের আমি গোঁফের তুমি, গোঁফ দিয়ে যায় চেনা! এমন একটি সময় ছিল যখন মধ্যপ্রদেশ পুলিশে গোঁফের কদরই ছিল আলাদা। এমনকী গোঁফের যত্নের জন্য বিশেষ ভাতাও মিলত। কিন্তু সেসব দিন আজ অতীত। তবে উত্তরপ্রদেশে এখনও গোঁফের যত্নে ২৫০ টাকা করে ভাতা দেওয়ার রীতি রয়েছে। তবে সম্প্রতি এই গোঁফ নিয়ে বেজায় বিড়াম্বনায় পড়েছেন মধ্যপ্রদেশের এক পুলিশকর্মী। অফিসাররাই তাঁর এই পেল্লায় গোঁফ দেখতে পছন্দ করেন না। আর এর জেরে একেবারে সাসপেন্ডের খাঁড়া নেমে এল তাঁর উপর। তবে পুলিশ কর্মীরও জেদ। সাধের গোঁফ তিনি কাটতে রাজি নন।
মধ্যপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল আর্মড ফোর্সের জওয়ান রাকেশ রানা। গাড়ির চালক তিনি। মুখের মধ্যে গোঁফ জোড়া তাঁর একেবারে দেখার মতো। অনেকটা ক্যাপ্টেন অভিনন্দন বর্তমানের মতো তাঁর গোঁফ। এদিকে স্পেশাল ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশের গাড়ি চালানোর ডিউটি ছিল তাঁর। কিন্তু তাঁর এই গোঁফ নিয়ে আপত্তি তোলেন আধিকারিক। এরপর গোঁফ নিয়ম মেনে কাটার জন্য নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু তিনি তা করতে চাননি। এরপর তিনি আধিকারিকদের জানান ওই গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। আর তার পরিণতিতেই তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে শুক্রবার।
মধ্য়প্রদেশের অ্য়াসিস্টান্ট ইনসপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ প্রশান্ত শর্মা নির্দেশ জারি করে লিখেছেন, ওই জওয়ানকে দেখতে ভালো লাগছে না। তার চুল ও গোঁফ কাটার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই নির্দেশ পালন করেননি। শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদিকে গোঁফধারী রাকেশ রানার দাবি, একবছর ধরে কেউ কিছু বললেন না। গোঁফ নিয়ে সেনাদের বেশ স্মার্ট লাগে। সাসপেন্ড হোক, তবু গোঁফ কাটব না। এটা আত্মমর্যাদার ব্যাপার।