মধ্যপ্রদেশের সরকারি কলেজ জেএইচ পিজি কলেজে একজন প্রফেসরকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে খবর। ক্যাম্পাসের মধ্যেই তাকে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। এরপর তার শরীরে লঙ্কার গুড়ো প্রয়োগ করা হয়। সহকারি প্রফেসর নীরজ ধাকাড় সংস্কৃত বিভাগে পড়ান। শুক্রবার বিকালে কয়েকজন আচমকাই প্রবেশ করেছিল কলেজ চত্বরে। তারা নীরজ স্যারকেই টার্গেট করেছিল বলে খবর। তাকে প্রচন্ড মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
এদিকে মারধর করার আগে ওই প্রফেসরের চোখে লাল লঙ্কার গুড়ো দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর তার উপর লাঠি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই অধ্য়াপকের উপর। চলে বেধড়ক মার। সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে গোটা ঘটনা। এমনকী দুষ্কৃতীরা সংস্কৃত বিভাগে ঢুকে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। সেই সময় ওই শিক্ষক পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন। সেই সময় তার উপর চড়াও হয় অন্যান্যরা।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা ওই দিনের ঘটনার কথা জানিয়েছেন। তাঁদের কথায় প্রফেসরকে ধরে বেধড়ক মারছিল ওরা। যতক্ষণ না তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে না যান ততক্ষণ ধরে চলে এই ঘটনা। এদিকে কাছেই অন্যান্য শিক্ষক ছাত্রছাত্রীরা ছিল। তারা কেউ বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি। পরে সহকর্মীরা ওই শিক্ষককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
এদিকে মেডিক্যাল রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে। তার মাথায়, হাতে, পায়ে সব জায়গায় আঘাত। কিন্তু কেন এই হামলা?
যেটা মনে করা হচ্ছে কলেজের এক প্রাক্তন ছাত্র অন্নু ঠাকুরের সঙ্গে তাঁর কোনও পুরনো ঝামেলা ছিল। তারই পরিণতিতে তার উপর হামলা চালানো হয়।
আসলে এর আগে অনিয়মিত কলেজে আসত অন্নু। এনিয়ে তার সঙ্গে কলেজের ওই অধ্য়াপকের বচসা হয়েছিল। এদিকে অভিযোগ যে ওই ছাত্র অধ্য়াপকের অফিসিয়াল স্ট্যাম্প ও লেটার হেড জাল করেছিল। তখন থেকে ঝামেলা চলছিল। একটা স্কলারশিপ প্রোগ্রামকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা।
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ওই অধ্য়াপককে। তিনি জানিয়েছেন, আমি পড়ুয়াদের সঙ্গে স্টুডেন্ট প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনায় বসেছিলাম। সেই সময় পাঁচ জন প্রবেশ করল। তারা আমার চোখে লঙ্কার গুড়ো দিয়ে মারতে শুরু করল। ওরা আমায় খুন করতে চেয়েছিল। আমি চিনতে পেরেছি। ওরা সব অন্নু ঠাকুরের লোকজন। ওরা আমায় লাঠি দিয়ে মেরেছে। পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে।