নুডুলসেই যে বিপত্তি লুকিয়ে তা কে জানত! মায়ের হাতের বানানো নুডুলস খেতে গিয়ে গলায় সেফটিপিন আটকে যায় এক রত্তির। তিন বছর বয়সী শিশুটিকে এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় গুরুতর অবস্থায়। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাকে বৃহস্পতিবার ২৫ অগস্ট রাত বারোটা নাগাদ নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানে শিশুটির চিকিৎসা চললেও চিকিৎসকরা ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন।
শিশুটির নাম সোহানা আখতার জিদনি। শিশুটির বাড়ি নাটোরের লালপুর উপজেলার বড়বাগ পাড়ায়। তার বাবার নাম শফিকুল ইসলাম। রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার আরও একবার এক্সরে করানো হয় ২৬ অগস্ট, শুক্রবার। সেই এক্সরেতেও সেফটিপিনটিকে আটকে থাকতে দেখা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সোহানাকে তার মা জুলেখা বেগম বিকেলবেলায় নুডুলস খাওয়াচ্ছিলেন। তখনই তার গলায় কিছু একটা আটকায়। আর তারপরই সোহানা বমি করতে শুরু করে। একটা সময়ের পর সে অসুস্থ হয়ে যায়। সেই রাতেই তাকে রাজশাহীর একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক্সরে করানোর পর দেখা যায় তার গলায় সেফটিপিন আটকেছে। এরপর তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু খাবারে কী করে সেফটিপিন এল তা বোঝা যাচ্ছে না। সেটা কিসে ছিল তাও ধরা যাচ্ছে না, নুডুলসে নাকি জলে। চিকিৎসকরা বলছেন শিশুটির অস্ত্রোপচার দরকার। কিন্তু রাজশাহী হাসপাতালে এই ব্যবস্থা না থাকায় তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে।