তফসিলি জাতি এবং জনজাতিদের সংরক্ষণ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বাতিলের প্রতিবাদে বুধবার ভারত বনধের ডাক দিয়েছিল দলিত ও আদিবাসী সমাজ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও তাদের ডাকা বনধকে সমর্থন জানিয়েছিল। সেই বনধ চলাকালীন একটি স্কুল বাসে আগুন ধরিয়ে দিল বিক্ষোভকারীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের গোপালগঞ্জে। শিশুদের নিয়ে যাওয়ার সময় ওই বাসের একটি টায়ারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তারফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বাসে থাকা স্কুল পড়ুয়ারা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: উল্টোডাঙার কারখানায় আগুন, ছড়িয়ে পড়ল পাশের ফ্যাক্টরিতে, নিয়ন্ত্রণে দমকল
একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, একটি হলুদ স্কুল বাস পড়ুয়াদের নিয়ে যাচ্ছে। সেই সময় বাসটির সামনে চলে আসে বিক্ষোভকারীরা। প্রত্যেকের হাতেই ছিল লাঠিসোঁটা। রাস্তায় চারিদিকে জ্বলছিল টায়ার। এরইমধ্যে বাসের ঠিক নিচে একজনকে টায়ারে আগুন ধরিয়ে দিতে দেখা যায়।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা বাসে হামলা চালিয়ে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে। পুলিশের উপস্থিতিতেই বাসে আগুন লাগানো হয়। তবে বাসে আগুন লাগানোর চেষ্টার কথা অস্বীকার করেছে গোপালগঞ্জ পুলিশ। তাদের বক্তব্য, বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করলেও তারা বাসে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেনি। বাসটি একটি জ্বলন্ত টায়ারের ওপর দিয়ে চলে গিয়েছিল। তা থেকেই আগুন লাগে। তবে এরফলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। অন্য একটি ভিডিয়োতে, বিক্ষোভকারীর একজন মহিলা বাইক আরোহীকে রাস্তায় থামায় ।
প্রসঙ্গত, ভারত বনধের কারণে গোপালগঞ্জের বহু জায়গায় প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছিল বলে জানান সেখানকার পুলিশ সুপার স্বর্ণ প্রভাত। তবে গোপালগঞ্জে ভারত বনধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কিছু রাস্তায় যানবাহন আবার নির্বিঘ্নে চলাচল করেছে। তবে ২৭ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। এরফলে ব্যাপক সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। বিভিন্ন এলাকায় এ দিন বনধের ফলে জনজীবন ব্যাহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।