যাত্রীবাহী মার্কিন বিমান লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল! সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে স্পিরিট এয়ারলাইন্সের একটি বিমানের সঙ্গে। এই ঘটনায় বিমানে সওয়ার একজন কর্মী সামান্য আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্পিরিট এয়ারলাইন্সের তরফ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে সেই বিবৃতি উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, সোমবার আমেরিকার ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেল থেকে যাত্রা শুরু করেছিল ফ্লাইট ৯৫১। যার গন্তব্য ছিল হাইতির পোর্ট-আউ-প্রিন্স।
অভিযোগ, বিমানটি গন্তব্যে পৌঁছানোর পর অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু করতেই গন্ডগোল বাধে। বিমান লক্ষ্য করে সেই সময় গুলি ছোড়া হয়। তাতেই একজন ক্রু মেম্বার আহত হন।
এরপর অবশ্য আর বিমানটি হাইতিতে অবতরণ করেনি। নিরাপত্তার স্বার্থে বিমানের গন্তব্য পরিবর্তন করা হয় এবং সেটি পার্শ্ববর্তী দেশ ডমিনিকান রিপাবলিকে সুরক্ষিতভাবেই অবতরণ করতে সক্ষম হয়।
সংশ্লিষ্ট বিবৃতিতে স্পিরিট এয়ারলাইন্সের পক্ষে আরও জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় ওই বিমানটিরও ক্ষতি হয়েছে। অবতরণের পরই বিমানটি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করা হয়। তাতে দেখা যায়, বিমানের গায়ে গুলির ক্ষত রয়েছে।
তবে, স্বস্তির বিষয় হল, এই ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি এবং যাত্রীদের কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। যদিও, এই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে স্পিরিট এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
তারা জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত হাইতিতে তারা কোনও পরিষেবা প্রদান করবে না। পরবর্তী কোনও সিদ্ধান্ত গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত এই সাসপেনশন বজায় রাখা হবে। এক্ষেত্রে কীভাবে, কেন এই ঘটনা ঘটল, তার বিস্তারিত তদন্তের পরই পদক্ষেপ করা হবে।
সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে, যে বিমানটি গুলির হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আপাতত সেটিকে উড়ান হিসাবে ব্যবহার করা হবে না।
সোমবারের ওই হামলার পরই বিমান সওয়ার প্রত্যেক যাত্রীকে ফ্লোরিডায় ফিরিয়ে আনা হয়। এই আপতকালীন ফিরতি পথে তাঁদের জন্য সংস্থার তরফ থেকেই অন্য একটি বিমানের ব্যবস্থা করা হয়।
মায়ামি হেরাল্ড-এর পক্ষ থেকে প্রকাশ করা প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনার পরই আমেরিকান এয়ারলাইন্স মায়ামি ও হাইতির মধ্যে বিমান পরিষেবা আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্যদিকে, পোর্ট-আউ-প্রিন্সে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এই হামলা সম্পর্কে অবগত। তাদের আশঙ্কা, বাইরে থেকে কেউ যাতে হাইতির রাজধানী শহরে যাতায়াত করতে না পারে, তার জন্যই এই হামলা চালানো হতে পারে। এমনকী, আগামী দিনে সড়ক ও জলপথেও এমন হামলার আশঙ্কা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কিছু বছর ধরে রাজনৈতিকভাবে অশান্ত রয়েছে হাইতি। ২০১৬ সালের পর সেদেশে কোনও নির্বাচন হয়নি।
এই প্রেক্ষাপটে হাইতির নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথের গ্রহণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কারণ, সেদেশের 'ট্রানজিশনাল কাউন্সিল' প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে গ্যারি কোনাইলকে অপসারিত করে দিয়েছে বলে রবিবারই এএফপি সূত্রে দাবি করা হয়েছে।