দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের শিকার হল 'স্বয়ং' সংবিধান প্রণেতা ড. বি আর আম্বেদকরকে। ভাঙচুর করা হল তাঁর মূর্তি। ন্যক্কারজনক এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বাকড়ার চন্দন ব্লকের অন্তর্গত আমজোরা গ্রামে।
স্থানীয় পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। শনিবার পুলিশের পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়।
প্রাথমিকভাবে এই ঘটনা সম্পর্কে যেটুকু তথ্য জানা গিয়েছে, তা হল - খুব সম্ভবত শুক্রবার রাতে সকলের আড়ালে এই কুকীর্তি ঘটানো হয়েছে। পরে শনিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথম লক্ষ করেন যে তাঁদের এলাকায় বাবা সাহেব আম্বেদকরের মূর্তি ভাঙা হয়েছে! তাঁদের পক্ষ থেকেই পরবর্তীতে এই হামলার কথা পুলিশকে জানানো হয়।
স্থানীয় মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও) রাজ কিশোর এই ঘটনার খবর পাওয়ার পরই সেখানে পৌঁছে যান। ঘটনাস্থল ও তার আশপাশ খতিয়ে দেখেন তিনি।
তাঁর বক্তব্য, সমাজে যাতে আতঙ্ক ছড়ানো যায়, মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করা যায়, তার জন্য দুষ্কৃতীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। একইসঙ্গে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, এইসব দৌরাত্ম্য প্রশাসন বরদাস্ত করবে না। পুলিশ ইতিমধ্যেই ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-র বিভিন্ন ধারা অনুসারে, অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। কারা এর পিছনে রয়েছে, শীঘ্রই তা জানা যাবে। এবং প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে পদক্ষেপ করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রোজের মতোই শনিবারও সকাল হতেই নিজেদের কাজে বেরিয়ে পড়েন এই এলাকার বাসিন্দরা। সেই সময়েই তাঁরা লক্ষ করেন, বাবা সাহেব আম্বেদকরের মূর্তি ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
মুখে মুখে সেই খবর চাউর হয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে ঘটনাস্থলে ভিড় জমিয়ে ফেলেন এলাকার এবং আশপাশের বাসিন্দারা। তাঁদের সকলেরই বক্তব্য, এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা কিছুতেই মানা যায় না। যে বা যারা এমনটা ঘটিয়েছে, তাদের অবিলম্বে পাকড়াও করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
স্থানীয় থানার স্টেশন হাউস অফিসার বিপিন কুমার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্তের কাজ শুরু করেছে। দোষী ব্যক্তিদের কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় এই মূর্তিটি বসানো হয়েছিল প্রায় তিন বছর আগে। সরকারের তরফেই এই কাজ করা হয়েছিল। এছাড়াও, গত বছর এই মূর্তিটি নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল।