মহারাষ্ট্রের পুনেতে এক তরুণকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ করল। প্রায় ২০ থেকে ২২ জন যুবক মিলে ১৯ বছর বয়সি ওই কলেজ পড়ুয়াকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। ফলে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ওই তরুণের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই ঘটনায় পুলিশ ৪ জন নাবালক-সহ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ পুনের তালেগাঁও দাভাদে এলাকায়। মৃত তরুণের নাম প্রণব ওরফে জয় অনিল মান্ডেকার। তিনি ইন্দ্রায়ণী কলেজের বিকম বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। এই ঘটনায় পুলিশ যাদের গ্রেফতার করতে পেরেছে তারা হল কুণাল ঠাকুর, রোহন সুরতে, ভিকি পাওয়ার, মঙ্গেশ হিরে, নীলেশ ঘায়কে, সাগর ঘাডে, রীতেশ শিন্ডে, চিক্য শিন্ডে, প্রথমেশ পাওয়ার। বাকিরা পলাতক। তালেগাঁও দাভাদে পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাতে প্রণব তার বন্ধু বিশাল ভার্মার সঙ্গে ইদগাহ ময়দানে ছিলেন। সেই সময় বিশালের সঙ্গে মঙ্গেশ হিরের কোনও একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে ফোনে বচসা শুরু হয়ে যায়। তারপরেই ২০ থেকে ২২ জন ঘটনাস্থলে চলে আসে। তাদের দেখে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা প্রণব ও তার বন্ধু।
তলেগাঁও দাভাদে থানার পুলিশ অফিসার নিতিন ল্যান্ডেজ বলেন, ‘দৌড়নোর সময় প্রণব হোঁচট খেয়ে তুকারামনগরের রুগবেদ হাসপাতালের কাছে পড়ে যান। তখনই ওই ছেলেদের দল তাকে ধরে ফেলে বেধড়ক মারধর করার পাশাপাশি ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। অনেকে ভয়ে দোকান বন্ধ করে দেয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা নথিভুক্ত করে পুলিশ।
অন্যদিকে, আরও একটি ঘটনায় এক যুবককে ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। মৃত যুবকের নাম ধ্রুব মহেশ খিলারে। বন্ধুর সঙ্গে বাইকে করে বাড়ি ফেরার সময় তার ওপর ধারালো অস্ত্রের আঘাত করে এক যুবক।