পড়াশোনাতে বরাবরই মেধাবী। অথচ মেডিক্যালের সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় (নিট) ছাত্রী পেয়েছিলেন শূন্য নম্বর। লিপাক্ষী পতিদার নামে ওই ছাত্রী মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। পরীক্ষায় ভুল নম্বর দেওয়ার অভিযোগ তুলে সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই ছাত্রী। সে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির কাছে রিপোর্ট রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: সরকারের বিরুদ্ধে ফের জয় কর্মীদের, DA মামলা নিয়ে কী রায় দিল হাই কোর্ট?
আবেদনকারী ছাত্রী রাজ্যের আগর-মালওয়া জেলার বাসিন্দা। ডাক্তারি পড়ার লক্ষ্যে গত জুলাইয়ে তিনি মেডিক্যালের সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ছাত্রীর আইনজীবী ধর্মেন্দ্র চেলাওয়াত জানিয়েছেন, লিপাক্ষী ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত নিট পরীক্ষায় ২০০টির মধ্যে ১৬১টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে তিনি উত্তীর্ণ হবেন। কিন্তু, গত ৭ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার পরেই তার পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যায়। কারণ ওই ছাত্রীর প্রাপ্ত নম্বর ছিল শূন্য। এরপরেই ওই ছাত্রী আরটিআই করে জানতে পারেন তিনি যে তার ওএমআর শিট ফাঁকা রিয়েক। তা দেখে অবাক হয়ে যান ওই ছাত্রী। আইনজীবীর সন্দেহ, উত্তরপত্র জালিয়াতি করা হয়েছে।
শুনানির সময় কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী পরীক্ষার্থীর আসল রেকর্ড জমা দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে এক সপ্তাহের সময় চেয়েছেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। হাইকোর্টের ইন্দোর বেঞ্চের বিচারপতি সুবোধ অভ্যাঙ্কর এই মামলার শুনানির পরবর্তী তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন।