মহিলার বয়স ২৫ বছর। তিনি মীরাটের বাসিন্দা। শামলি এলাকায় ১৬ বছর বয়সি এক কিশোরের বাড়িতে ওই তরুণী জোর করে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ। তার দাবি তাকে বিয়ে করতে হবে। আসলে মাস কয়েক আগে সোশ্য়াল মিডিয়ায় তাকে ব্লক করে দিয়েছিল ওই কিশোর। তারপর থেকেই ওই তরুণী রেগে যান। এরপর তিনি কার্যত বেপরোয়া হয়ে ওই কিশোরের বাড়িতে চলে যান।
এদিকে ওই নাবালকের পরিবারের দাবি, দিন কয়েক ধরেই ওই তরুণী তাদের বাড়িতে রয়েছেন। তাকে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বার বার বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি কিছুতেই বাড়ি থেকে যেতে চাইছেন না। এমনকী জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দিলে তিনি নিজেকে শেষ করে দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন।
এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ওই ছেলেটির বাবা ও অন্যান্য আত্মীয়রা প্রথমে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানান। শেষ পর্যন্ত সমস্যা মেটাতে না পেরে তারা জেলা শাসকেরও দ্বারস্থ হন।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরের বাবা জানিয়েছেন, আমার ছেলে পড়াশোনা জানে না। কোনও কাজকর্মও করে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই মহিলার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ছেলের। আর এখন সেই মহিলা এসে হাজির হয়েছেন আমার বাড়িতে। এখন তিনি বলছেন বাড়ি থেকে বের করে দিলেই আত্মহত্যা করব।
এদিকে গোটা ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে পুলিশ প্রশাসন। ওই মহিলাকে তার বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ওই মহিলাকে তার বাড়ির লোকজনও ফিরিয়ে নিতে চাননি। কারণ তিনি বদনাম করে ফেলেছেন। সেক্ষেত্রে তিনি আর ফিরতে চাননি তার বাড়িতে।
এদিকে গোটা ঘটনায় পুলিশ পড়েছে মহা বিপাকে। ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এটা একটা অদ্ভূত ব্যাপার। ওই মহিলা নাবালকের সঙ্গে থাকতে চাইছেন। এরপর মহিলাকে তার বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। সেখানে তাকে নেওয়া হয়নি। এরপর তিনি ফের ফিরে আসেন। আপাতত ঠিক করা হচ্ছে এভাবে তার বাড়ির লোকজন যদি নিতে না চান তবে তাকে কোনও সেল্টার হোমে পাঠানো হবে।
এদিকে ওই মহিলার পরিবারের লোকজন হকারি করেন। মীরাটেরও বাসিন্দা তারা। কিন্তু এভাবে বার বার ওই নাবালকের কাছে চলে আসাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিশও পড়ে গিয়েছে মহা আতান্তরে।