আরজি কর-এর অন্দরে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে ক্ষোভে উত্তাল বাংলা। তাঁর চেনা পরিসরে এই মৃত্যুতে উঠেছে তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ। এই নৃশংস হত্যার বিক্ষোভ আন্দোলনের মাঝে আরও এক ভয়াবহ কাণ্ড এল প্রকাশ্যে। এক মহিলা অভিযোগ করেছেন, তাঁকে যৌনদাসী হিসাবে আটকে রেখে, দিনের পর দিন চলেছে অত্য়াচার। তাঁর ঠোঁট কেটে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ, উপড়ে ফেলা হয়েছে দাঁত।
এই নৃশংস অত্যাচারের ঘটনা ঘটে গিয়েছে পোল্যান্ডে। ‘দ্য মিরর’ এর তরফে এই অভিযোগ ঘিরে একটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে। ৩৫ বছর বয়সী ওই মহিলার অভিযোগ, তাঁকে একটি পাথরের দেওয়ালের ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। এর আগে, সেই জায়গায় থাকত পশুপ্রাণীরা। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সেই জায়গায় ভালো করে প্রবেশ করত না সূর্যের আলো। কোনও জলের সংযোগ ছিল না সেই ঘরে। ছিলনা ঘর গরম রাখার ব্য়বস্থা। এই অবস্থায় ওই ঘরে দিনের পর দিন কাটিয়ে এসেছেন ওই মহিলা। তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলছেন, সেই ঘরটিতে কোনও শৌচ কার্যেরও সঠিক জায়গা ছিল না। ঘরের একটি মাত্র জানলা সেটিও ছিল বন্ধ।
ওই মহিলা দাবি করেছেন, বিগত ৪ বছর ধরে ওই ঘরে তাঁকে আটক করে রাখা হয়েছিল। বন্দি অবস্থায় তিনি সেখানে যৌনদাসী হিসাবে ছিলেন। যে যুগে এআই-এর মতো প্রযুক্তি ঘিরে দুনিয়া এগিয়ে চলেছে, সেই যুগে দাঁড়িয়ে এম মধ্যযুগীয় যৌন বর্বরতা ঘিরে গোটা বিশ্ব ক্ষেভে ফুঁসে উঠছে। ওই মহিলা বলছেন, তাঁর ওপর এতটাই যৌন অত্যাচার হয়েছে, যে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েন। এরপর তাঁর হাতের সমস্যার জেরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি বাকি রোগীদের জানান, তাঁকে আটক করে রেখে বন্দি করা হয়েছে। ২০১৯ সালে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর অনলাইনে সাক্ষাৎ হয়। সেই থেকেই পরিচিতি। সেই ব্যক্তিই ওই মহিলাকে এভাবে অত্যাচার করছেন বলে তিনি জানান। ডেইলি মেল- তার রিপোর্টে বলেছে,' ওই মহিলা হাসপাতালে থাকাকালীন, তিনি অন্য রোগীর সাথে তার কী হয়েছিল সে সম্পর্কে কথা বলতে শুরু করেছিলেন। তারা আত্মবিশ্বাসের সাথে কথা বলছিল কিন্তু রোগী তার সাথে কী ঘটেছে সে সম্পর্কে ডাক্তারদের সতর্ক করেছিল। শারীরিক ও মানসিক উভয় দিক থেকেই সে সত্যিই গুরুতর অবস্থায় রয়েছে।'