একেবারে হাড়হিম করা ঘটনা। ব্রজেশ খুশওয়া নামে এক ব্যক্তি বিশেষ অ্যাপ ব্যবহার করে তার গলার স্বর বদলে ফেলেছিল। সে নিজেকে কলেজের শিক্ষিকা বলে উপস্থাপিত করে ফেলত। এরপরই শুরু হয় ভয়াবহ অপরাধ। মধ্য়প্রদেশের আদিবাসী ছাত্রীদের বোকা বানিয়ে সে ধর্ষণ করত বলে অভিযোগ। নিজেকে শিক্ষিকা বলে পরিচয় দিয়ে সে ছাত্রীদের স্কলারশিপ দেওয়ার লোভ দেখাত। এরপর সে ছাত্রীদের ডেকে নিয়ে আসত সেই নির্জন জায়গায়। ছাত্রীদের সে জানাত সেই নির্জন জায়গায় গেলে সেখান থেকে মোটর বাইকে চাপিয়ে তাকে তার বাড়িতে নিয়ে আসা হবে। কিন্তু সবটাই ছিল সাজানো। আসলে বোকা বানিয়ে সে ধর্ষণ করত ছাত্রীদের।
আসলে মহিলার কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে সে বোকা বানাতো। তারপর তাদেরকে ধর্ষণ করত সে। পুলিশ জানিয়েছে অন্তত সাতজন আদিবাসী ছাত্রীকে সে ধর্ষণ করেছে। এদিকে ছাত্রীরা জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি একটি হেলমেট পরে থাকত। সেকারণে বোঝা যেত না। তবে একমাত্র বোঝা যেত যে ওই যুবক সবসময় হাতে একটা গ্লাভস পরে থাকত। এদিকে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে কারখানায় কাজ করতে গিয়ে ওই ব্যক্তির হাত পুড়ে গিয়েছিল। সেকারণে সে গ্লাভস পরে থাকত। শনিবার খুশওয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার আরও তিনি সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই খুশওয়ার বাড়িকে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ, প্রশাসন।
আইজি মহেন্দ্র সিকারওয়ার সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, একজন আমাদেরকে জানিয়েছিল যে স্কলারশিপ দেওয়ার নাম করে তাকে ফোন করেছিল। এরপর নির্জন জায়গায় যাওয়ার কথা বলে। আর সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানানো হয়। এরপর ব্রজেশকে চিহ্নিত করা হয়। তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে এরপর পুলিশকে জানায় বিশেষ ধরনের অ্য়াপ ব্যবহার করে সে মহিলাদের কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে ছাত্রীদের বোকা বানাত। এরপর তারা যখন নির্জন জায়গায় যেত তখন তাদের উপর সে ঝাঁপিয়ে পড়ত।
তবে পুলিশ সহজে ওই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করতে পারছিল না। পরে পুলিশ জানতে পারে যে সবক্ষেত্রেই ওই ব্যক্তি হাতে একটা গ্লাভস পরে ছিল। সেই মতো পুলিশ তদন্ত শুরু করে। আসলে হেলমেট দিয়ে তার মাথা, মুখ ঢেকে রাখত। কিন্তু সে হাতের গ্লাভসটা ঢাকতে পারেনি। আর সেই সূত্র ধরেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলে।