যৌনকর্মীদের আধার কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে বাসস্থানের প্রমাণপত্র দেখানোর বিষয়টিতে কিছুটা শিথিল করার বিষয়য়টি বিবেচনা করার ব্যাপারে উইনিক আইডেনটিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার কাছে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে বাসস্থানের জায়গা প্রকাশ্যে এলে তাদের নানাভাবে হয়রানি করা হতে পারে, এই আশঙ্কায় যৌনকর্মীরা অনেক সময় আধার কার্ড করার ক্ষেত্রে কিছুটা দ্বিধায় থাকেন। এদিকে সোমবার জাস্টিস এল নগেশ্বরা রাও ও বিআর গভাইয়ের বেঞ্চ জানিয়েছে, বাসস্থানের প্রমাণপত্রের উপর জোর না দিয়ে যৌন কর্মীদের তালিকাদের উপর নজর দেওয়া দরকার। তবে উইনিক আইডেনটিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া এনিয়ে সময় চেয়েছে।
এদিকে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যদি উইনিক আইডেনটিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া এই প্রস্তাবে রাজি হয় তবে ৮.৬৮ লাখ মহিলা যৌন কর্মী উপকৃত হবেন। ন্যাশানাল এইডল কন্ট্রোল অথিরিটির কাছে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা রয়েছে।
আদালত সূত্রে খবর একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে যৌন কর্মীদের পরিস্থিতির বিষয়টি সামনে আসে। তাদের পরিচয়পত্র দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও সামনে আসে। এদিকে সেক্স ওয়ার্কারদের পরিস্থিতি যাচাই করার জন্য আদালত বিশেষজ্ঞ কমিটিও তৈরির কথা জানিয়েছে। এদিকে উইনিক আইডেনটিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে আইনজীবী জোহেব হোসেন জানিয়েছেন আধার ডাটাবেস থেকে এটা বোঝা যায় না কতজন যৌনকর্মী আধার কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। কারণ এতে পেশার কথা উল্লেখ করা থাকে না।কিন্তু আদালত জানিয়েছে বাসস্থানে বলতে হবে এই আশঙ্কায় যৌনকর্মীদের একাংশ আধার কার্ডের মতো পরিচয়পত্র বানাতে চান না।