নয়াদিল্লিতে পা রেখেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করেছিলেন শরদ পাওয়ারের সঙ্গে। তখন সমীকরণ নতুন করে তৈরি হচ্ছে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু বুধবার সকালেই পরিস্থিতি খানিকটা পাল্টে গেল। জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে যখন বিজেপিকে কোণঠাসা করার সুযোগ এসেছে তখন আজকের কনস্টিটিউশন হলের বৈঠকে থাকছে না অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি৷ একইসঙ্গে তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতিও থাকছে না বলে সূত্রের খবর।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? সূত্রের খবর, সোনিয়া গান্ধী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা ও শরদ পাওয়ারের মধ্যস্থতায় কংগ্রেস আজকের বৈঠকে থাকছে। সেখানে মমতা–কেজরিওয়ালের সুসম্পর্ক থাকলেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে মেপে পা ফেলতে চাইছে আপ৷ বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঠিক হওয়ার পর এই ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেবে আপ।
কারা কারা থাকছে না? সূত্রের খবর, আম আদমি পার্টি, তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি এবং বিজু জনতা দল এই বৈঠকে থাকছে না। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপিকে সমর্থন করছে না আম আদমি পার্টি এবং তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি। তবে বিজু জনতা দল কী করবে? তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে বৈঠকে হাজির থাকছে বিরোধী শিবিরের বাকি অধিকাংশ দলই৷ মল্লিকার্জুন খার্গে, জয়রাম রমেশ এবং রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাকে পাঠাচ্ছে কংগ্রেস৷ এমনকী এই বৈঠকে নিজেদের প্রতিনিধিকে পাঠাচ্ছে সিপিআইএম, থাকবেন সিপিআই–এর সাংসদও৷
আর কী জানা যাচ্ছে? মমতার এই বৈঠকে জেডিএস–এর পক্ষ থেকে হাজির থাকবেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া এবং তাঁর ছেলে এইচ ডি কুমারস্বামী৷ হাজির থাকবেন ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি, তেজস্বী যাদব, টি আর বালুর মতো নেতারা৷ সমাজবাদী পার্টি জানিয়ে দিয়েছে, রাষ্ট্রপতি পদে মমতা যাঁর নাম প্রার্থী হিসেবে প্রস্তাব করবেন তাঁকেই তাঁরা সমর্থন করবেন৷ এখন দেখার পাওয়ারফুল নেতা শরদই বিরোধীদের তুরুপের তাস হয় কিনা।