দীপাবলি মিটতেই গুজরাতে শুরু হয়ে গিয়েছে বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি। প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গড় সেই গুজরাতে বিজেপিকে টক্কর দেওয়াই লক্ষ্য আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। সে কথা আগেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই মতো গুজরাত থেকেই জমি দখলে তৎপর হয়েছেন আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। লাগাতার গুজরাতে প্রচারে চালিয়ে যাচ্ছেন। আপ ভোটে জিতলে গুজরাতের জন্য কী করবে আগে থেকেই একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিলেন কেজরিওয়াল। গুজরাতের প্রতিটি পরিবারকে মাসে ৩০ হাজার টাকার আর্থিক সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন আপ সুপ্রিমো।
কেজরিওয়াল বলেন, তাঁর দল নির্বাচিত হলে দিল্লি এবং পাঞ্জাবের মতো গুজরাতেও দুর্নীতির অবসান ঘটাবে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টিও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি রয়েছে গুজরাতে। আমি প্রথমে আপনাদের মুদ্রাস্ফীতি থেকে মুক্তি দেব। পরিবারের সদস্যের মতোই মানুষকে সাহায্য করব।’ এছাড়াও, গুজরাতে আপ ক্ষমতায় আসলে ১ মার্চের পর থেকে মানুষকে আর বিদ্যুতের বিল দিতে হবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেজরিওয়াল।
তিনি বলেন, ‘আপ ক্ষমতায় আসলে গুজরাতে প্রতিটি পরিবারকে মাসে ২৭ হাজার টাকা আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে। যার ফলে বিদ্যুতের বিলে ৩০০০ টাকা, শিক্ষার খরচে ১০০০০ টাকা সাশ্রয় হবে। বেকার যুবকদের জন্য মাসে ৩ হাজার টাকা ভাতা এবং মহিলাদের ১ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে। এইসব মিলিয়ে প্রতিটি পরিবার মাসে ৩০ হাজার টাকা করে আর্থিক সুবিধা পাবেন।’
একই সঙ্গে যে সমস্ত মন্ত্রীরা দুর্নীতিগ্রস্ত তাদের সম্পত্তিও উদ্ধার করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেজরিওয়াল। যদিও এ বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। গুজরাত কংগ্রেসের মুখপাত্র মনীশ ডোসি বলেছেন, ’বিজেপির মতোই আপ মানুষকে ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। ক্ষমতায় আসার আগে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী প্রতিটি পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেসব কোথায় গেল?’ এছাড়াও তার কটাক্ষ, ‘দিল্লিতে ৭০০টি স্কুল রয়েছে। সেই জায়গায় গুজরাতে রয়েছে ৩৮ হাজার স্কুল। আট বছর ধরে ওরা দিল্লিতে কী করল?’