একটি রেস্তোরাঁয় রাতের খাবার খেয়ে ফেরার সময় আম আদমি পার্টির এক নেতার স্ত্রীকে খুন করল দুষ্কৃতীরা। নিহত মহিলার নাম মানবী মিত্তল ওরফে লিপসি (৩৩)। তিনি আম আদমি পার্টির নেতা আনোখ মিত্তলের স্ত্রী। আনোখ পেশায় একজন ব্যবসায়ী। শনিবার রাতে লুধিয়ানার দেহলন বাইপাসে সশস্ত্র দুষ্কৃতীদল তাঁদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তবে ঘটনায় আপ নেতা দাবি করেছেন, ডাকাতির উদ্দেশ্যে এই খুন করা হয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, অনোখ মিত্তল ঘন ঘন বক্তব্য পরিবর্তন করছেন। তাই তদন্তকারীরা বিশ্বাস করেন যে তিনি ডাকাতির গল্প মনগড়া করে থাকতে পারেন। ইতিমধ্যেই আপ নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে, খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান মহিলার পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ ঘটনাটির পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: নদীর পাড়ে বৃদ্ধের মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধারে আলোড়ন, খড়িবাড়ির ঘটনায় তদন্তে পুলিশ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আপ নেতা জানিয়েছেন যে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী মালেরকোটলা রেডের একটি রেস্তোরাঁয় রাতের খাবার খেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি জানান, রাত ১১.৩০ টা নাগাদ যখন তারা ডেহলন বাইপাসে পৌঁছন, তখন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য তিনি রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়েছিলেন। গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার ধারে যাওয়ার পর ধারালো অস্ত্র নিয়ে কমপক্ষে পাঁচজন ব্যক্তি এসে তাকে আক্রমণ করে। এর ফলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। মিত্তল আরও জানান, যে কিছুক্ষণ পর যখন তিনি জ্ঞান ফিরে পান তখন তিনি রাস্তার ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর স্ত্রীকে পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁর গয়না এবং গাড়িটি সেখানে ছিল না।
মিত্তল আরও দাবি করেছেন, যে তিনি সেখানে কমপক্ষে এক ঘণ্টা ধরে সাহায্যের জন্য চিৎকার করেছিলেন। কিন্তু, কোনও গাড়ি তাঁকে সাহায্য করার জন্য থামেনি। পরে, একজন ধাবা মালিক তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। যেখানে তাঁর স্ত্রীকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।ইতিমধ্যে, পুলিশ তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আপ নেতা ঘন ঘন তার বক্তব্য পরিবর্তন করছেন। জানা যাচ্ছে, এই দম্পতির মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন ছিল। উল্লেখ্য, মিত্তল ৪ মাস আগে আপে যোগ দিয়েছিলেন। সহকারী পুলিশ কমিশনার হরজিন্দর সিং বলেন, মিত্তল জানিয়েছেন, যে হামলাকারীরা তাঁকে কিছু নেশাজাতীয় দ্রব্য দিয়ে তাঁর মুখ চেপে ধরেছিল। তাঁর দাবি নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।এসিপি জানিয়েছেন, পুলিশ সব দিক থেকেই বিষয়টি তদন্ত করছে। খুব শীঘ্রই মামলার সমাধান হবে বলে তিনি জানান।