বুধবার মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত সহ মোট ১৩ জনের। তাঁদেরই মধ্যে অন্যতম হলেন ব্রিগেডিয়ার লিড্ডার। শুক্রবার পূর্ণ সম্মানের সঙ্গে ব্রিগেডিয়ার লিড্ডারের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। সেই সময় স্বভাবতই চোখে জল ছিল সেনা কর্তার মেয়ে ও স্ত্রীর। তবে সঙ্গে মুখে হাসি আনার জোরদার চেষ্টা ছিল। দেশের নায়ক ব্রিগেডিয়ার লিড্ডারকে হাসিমুখেই বিদায় দিতে চান মেয়ে আশনা ও স্ত্রী গীতিকা। প্রয়াত সেনা কর্তার স্ত্রী গীতিকা লিড্ডারের বক্তব্য, ‘আমাদের অবশ্যই তাঁকে বিদায় দিতে হবে, হাসিমুখে বিদায় জানাতে হবে, আমি একজন সৈনিকের স্ত্রী। এটা একটা বড় ক্ষতি।’
ব্রিগেডিয়ার এলএস লিড্ডারের মেয়ে আশনা লিড্ডার বলেন, ‘আমি ১৭ বছর বয়সী হতে চলেছি। তাই তিনি ১৭ বছর আমার সঙ্গে ছিলেন, আমরা তাঁর সুখী স্মৃতি নিয়ে এগিয়ে যাব। এটা জাতীয় ক্ষতি। আমার বাবা ছিলেন একজন নায়ক, আমার বেস্টফ্রেন্ড ছিলেন তিনি। হয়তো এটা নির্ধারিত ছিল এবং আরও ভালো জিনিস আমাদের পথে আসবে। তিনি আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা ছিলেন।’
গতকাল ওয়েলিংটনের মাদ্রাজ রেজিমেন্টাল সেন্টারে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় সস্ত্রীক বিপিন রাওয়াত সহ নিহত সেনা কর্মীদের। এরপর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় সুলুর ঘাঁটিতে। পালাম টেকনিক্যাল এয়ারপোর্ট হয়ে সন্ধে সাতটার পর দিল্লি পৌঁছয় নিহতদের দেহ। সেখোনে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অন্যান্যরা। এরপর আজ পূর্ণ সামরিক সম্মানের সঙ্গে লখবিন্দর সিং লিড্ডারের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। আজ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর তিন সার্ভিস প্রধান- জেনারেল এম এম নারাভানে, অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার এবং এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী দিল্লি সেনানিবাসের ব্রার স্কোয়ারে ব্রিগেডিয়ারকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।