আশিক হুসেইন
স্কুলে আবায়া পরতে বারণ করেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ।এই অভিযোগ তুলেই প্রতিবাদে সরব হলেন ছাত্রীরা। বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের শ্রীনগরের ঘটনা। কিন্তু এই আবায়া বিষয়টি কী? সাধারণত মুসলিম মহিলারা পোশাকের উপর একটি লম্বা আবরণ পরেন। এটা গোটা শরীরকে ঢেকে দেয়। কিন্তু মাথা, হাত ও পা ঢাকে না। এটাই আবায়া নামে পরিচিত।
এদিকে ছাত্রীদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচির পরে অস্বস্তিতে পড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ক্ষমাও চেয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বিশ্বভারতী গার্লস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের ১১ ও ১২ ক্লাসের ছাত্রীরা এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ প্রিন্সিপাল আবায়া পরতে বারণ করেছেন।
এদিকে ছাত্রীদের দাবি, স্কুলে কো এডুকেশন চালু হয়েছে। আবায়া না পরে এলে আমাদের অস্বস্তি হয়। তারা বলেন, অনেক বছর ধরে স্কুলে পড়ছি। কিন্তু আচমকাই প্রিন্সিপাল এই নির্দেশ দিয়েছেন।
এক প্রতিবাদকারী ছাত্রী জানিয়েছেন, গতকাল আমাদের বলা হয়েছিল আবায়া পরে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কারণ এই ড্রেস নাকি অন্য়দের প্রভাবিত করছে। এই পোশাক ঠিক নয়। এমনকী আমাদের বলা হয়েছে এই আবায়া পরতে হলে মাদ্রাসায় চলে যেতে। এমনকী আবায়া পরে এলে একাধিক স্কুল ডিউটি করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে তার অভিযোগ।
প্রতিবাদকারী ছাত্রী জানিয়েছেন, প্রিন্সিপাল বলছেন আবায়া ছেড়ে বেরিয়ে আসতে। আবায়া কীভাবে শিক্ষায় বিঘ্ন ঘটায় সেটাও বলছেন তারা। কিন্তু আমরা স্কুলের টপার। আমরা শান্তিতে পড়াশোনা করতে চাই।
এক ছাত্রী বলেন, আবায়া না পরে ছাত্রদের সামনে অস্বস্তি হয়। কিন্তু প্রিন্সিপাল বলছেন মাদ্রাসায় চলে যেতে।
তবে স্কুলের প্রিন্সিপাল মিম রোজ সাফি জানিয়েছেন, সাদা হিজাব পরে আসতে বলেছিলাম। আর ওরা নানা রঙের , ডিজাইনের পরে আসছে।
তবে এরপর তিনি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, আবায়া না পরে স্কুলে আসতে হবে বলে সোস্যাল মিডিয়ায় যে নির্দেশের কথা বলা হয়েছে তা একেবারে ভিত্তিহীন। স্কুল কর্তৃপক্ষ সকলের আবেগকে সম্মান জানায়। আবায়া পরা নিয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেননি প্রিন্সিপাল। সকলকে অত্যন্ত নম্রভাবে বলা হয়েছিল আবায়ার নীচে যেন স্কুলের ইউনিফর্মটা পরা হয়। আবায়া পরা নিয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই বলেও জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকলে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে।
এনিয়ে পিডিপি নেত্রী মেহেবুবা মুফতি জানিয়েছেন, নিজের ইচ্ছা মতো পরা, খাওয়া ও ধর্মাচারণের স্বাধীনতা দিয়েছে সংবিধান। এটার উপর আক্রমণ হলে সেটা মানা হবে না।