কাশ্মীরের ‘অপহৃত’ শিখ তরুণীকে (১৮) উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার পুলওয়ামার একটি গুরুদোয়ারায় তাঁর বিয়ে দেওয়া হয়। এক শিখ ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বিয়ের ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও পুরো ঘটনা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
ওই শিখ তরুণীকে অপরহণের অভিযোগে রবিবার উত্তপ্ত হয় ওঠে শ্রীনগর। বিক্ষোভে নামেন শিখরা। তাঁরা দাবি করেন, অপর একটি সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি তরুণীকে অপহরণ করেছেন।তারইমধ্যে শ্রীনগরে উড়ে আসেন দিল্লির গুরুদোয়ারার প্রবন্ধক কমিটির সভাপতি মনজিন্দর সিং সিরসা। যোগ দেন বিক্ষোভ। বলেন, ‘বন্দুক ঠেকিয়ে দুই তরুণীর অপরহণ এবং বয়স্কদের সঙ্গে তাঁদের জোর করে বিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে আমরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছি। তারপর তাঁদের অভিভাবকদেরও আদালতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমরা যখন আদালতের বাইরে বিক্ষোভ দেখাই, তখন একজনকে আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এটা জোর করে ধর্মান্তকরণের ঘটনা।’
তারইমধ্যে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ১৮ বছরের তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁকে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে (২৯) গ্রেফতার করা হয়েছে। শ্রীনগরের পুলিশ সুপার (উত্তর) মুবাশের হুসেন বলেন, ‘তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। তারপর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে চলে গিয়েছেন।’ পুলওয়ামায় একটি গুরুদোয়ারায় এক শিখ ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে করেছেন ওই তরুণী।
তারইমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রপতি জি কিষান রেড্ডির সঙ্গে দেখা কর শিখদের একটি প্রতিনিধিদল। একটি স্মারকলিপি জমা দিয়ে উত্তরপ্রদেশের ধাঁচে নয়া কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেও ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইন প্রণয়নের দাবি তোলা হয়। রেড্ডি বলেন, ‘ভারত সরকারকে স্মারকলিপি জমা দিতে একটি প্রতিনিধিদল এসেছিল। কাশ্মীরে জোর করে ধর্মান্তকরণ এবং বিয়ে ঠিক হয়নি। একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছে প্রতিনিধিদল। কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (অমিত শাহ) সঙ্গে আলোচনা করব।’