এবার এবিজি শিপইয়ার্ড জালিয়াতি মামলার তদন্তে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বুধবার ২২,৮৪২ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে বেসরকারী শিপিং সংস্থা এবিজি শিপইয়ার্ড এবং এর প্রোমোটারদের বিরুদ্ধে একটি অর্থ পাচারের মামলা দায়ের করেছে। অভিয়োগ, ব্যাঙ্কের থেকে নেওয়া ঋণের টাকা অন্তত ৯৮টি সংস্থায় সরিয়ে বিপুল আর্থিক তছরুপ চালিয়েছে এবিজি শিপইয়ার্ড।
উল্লেখ্য, এর কয়েকদিন আগেই সিবিআই এবিজি শিপইয়ার্ড কোম্পানির ডিরেক্টরদের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছিল। পাশাপাশি ১২ ফেব্রুয়ারি মোট ১৩টি জায়গায় ওই ব্যক্তিদের খোঁজে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের নেতৃত্বে ব্যাঙ্কের একটি গোষ্ঠী এই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেও সিবিআই কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ ওঠে। স্টেট ব্যাঙ্ক নভেম্বর ২০১৮ সালে প্রথমবার ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল। তবে সম্প্রতি এবিজি শিপইয়ার্ড নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় দেশজুড়ে। মনে করা হচ্ছে, আজ পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক প্রতারণার মামলা এটি।
উল্লেখ্য, যে সময়কালে এই দুর্নীতি ঘটে, তখন কেন্দ্রে ছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার আর গুজরাতে তখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ২০০৭ সালের এই ঘটনায় এবিজি শিপইয়ার্ড সংস্থাকে কম দামে জমি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে গুজরাত সরকারের বিরুদ্ধে। নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গুজরাতে এতবড় দুর্নীতি ঘিরে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। অভিযোগ রয়েছে, এবিজি শিপইয়ার্ডকে সেই সময় অর্ধেক দামে বেআইনিভাবে ১.২১ লাখ স্কোয়ার মিটার জমি দেয় গুজরাত সরকার। এতে নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গুজরাতের কোষাগারে ক্ষতি হয় ৮.৪৬ কোটি টাকার।