এমন কোনও প্রমাণ নেই যে নারী, তফসিলি জাতি এবং জনজাতিদের জন্য সংরক্ষণের ফলে রাজনীতিতে অযোগ্যদের সংখ্যা বাড়ছে। এমনই দাবি নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘নারী, তফসিলি জাতি এবং জনজাতিদের জন্য সংরক্ষণের ফলে সমাজে কল্যাণমূলক প্রভাব পড়ছে। এর জন্য নির্দল মহিলা আইন প্রণেতাদের সংখ্যা বাড়ছে।’ পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয় রাজনীতিতে সংরক্ষিত আসন বদল হয়। এই কারণে আমরা স্থানীয় গণতন্ত্রের পাশাপাশি সংরক্ষণও চাই। এটা আমাদের গণতন্ত্রের নকশার এক বড় ব্যর্থতা।’ তাঁর কথায়, ‘নীচুতলার নেতারা ভোটারদের কাছে বিশেষ একটা গুরুত্ব পান না।’
এদিকে ভারতের গণতন্ত্রের ‘মৌলিক সমস্যা’ প্রসঙ্গে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্রের নকশায় একটি মৌলিক সমস্যা হল আমাদের এখানে নির্বাচনী এলাকাগুলি অনেক বড়। ব্রিটেনের থেকে ভারতের জনসংখ্যা ২০ গুণ বেশি। তবে ব্রিটেনের থেকে আমাদের দেশের সংসদে আসন সংখ্যা কম। ভারতের সংসদে রয়েছে ৫৪৩টি আসন। তবে ইউনাইটেড কিংডমের সংসদে রয়েছে ৬৫৬টি আসন।’
‘তৃণমূলস্তরে গণতন্ত্র: কী কাজ করে, কী করে না এবং কেন?’- এই বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাজের খতিয়ান যদি প্রকাশ করা হয়, তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই নির্বাচনের ফলাফল বদলে যেতে পারে।’ তাঁর অভিযোগ, ‘আমাদের গণতন্ত্রের কাঠামোগত সমস্যাই দেশের সুষ্ঠ শাসন ব্যবস্থা পরিচালনার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কিছু ক্ষেত্রে।’