ত্রিপুরায় আইপ্যাক কর্মীদের আটক করে রাখার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। এই আবহে ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটকরা ত্রিপুরা উড়ে গিয়েছেন। সূত্রের খবর, এবার ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরেই দিল্লি থেকে ত্রিপুরায় যেতে পারেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আইপ্যাক কর্মীদের হয়ে সুর চড়ানোর পাশাপাশি স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের পাশে দাঁড়াতেই সেখানে অভিষেক যাচ্ছেন বলে খবর।
জানা গিয়েছে, রবিবার থেকেই আগরতলার একটি হোটেলে নজরবন্দি হয়ে রয়েছেন আইপ্যাকের প্রায় ২৩ জন কর্মী। পুলিশের যদিও বক্তব্য, করোনা পরীক্ষার জন্যে আইপ্যাক কর্মীদের সেখানে আটক রাখা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার ২৩ কর্মীর নেগেটিভ রিপোর্ট এসে পৌঁছালেও ফের একবার আরটিপিসিআর টেস্ট করানো হয় সেই ২৩ জনেরই। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দিল্লি থেকেই সরব হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সরব হয়েছেন মমতাও।
বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা আইপ্যাক কর্মীদের বন্দি হওয়ার বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। এরপর তিনি নির্দেশ দেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং আইন মন্ত্রী মলয় ঘটককে ত্রিপুরায় যেতে। তাঁদের সঙ্গে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আগরতলায় যেতে বলা হয়।
২১ জুলাই থেকেই ত্রিপুরায় তৃণমূলের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে দেখা গিয়েছে বিপ্লব কুমার দেবের প্রশাসনকে। তৃণমূলের শহিদ দিবস পালনের দিনে সেরাজ্যে তৃণমূলের প্রায় ১০০ কর্মীকে আটক করা হয়েছিল। আর এখন তৃণমূলের হয়ে কাজ করা আইপ্যাক কর্মীদের কাজ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনিক ভাবে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি করে। এদিকে আক্ষরিক অর্থে সর্বভারতীয় হয়ে ওঠার চেষ্টায় তৃণমূল উত্তর-পূর্বের এই বাঙালি রাজ্যের উপর নজর দিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে অভিষেক ত্রিপুরায় পা রাখলে তার রাজনৈতিক ভাবে তাত্পর্যপূর্ণ হবে বলেই বিশ্লেষকদের মত।