বৈবাহিক ধর্ষণ ইস্যুকে সামনে রেখে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট এদিন তার বড় রায়ে জানিয়ে দিয়েছে যে, কোনও বিবাহিত মহিলাকে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে গর্ভবতী করে তোলা হলে তা বৈবাহিক ধর্ষণ হিসাবে পরিগণিত হবে গর্ভপাতের ক্ষেত্রে। তা ছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, প্রতিটি মহিলাই নিরাপদ গর্ভপাতের অধিকার পেতে পারেন।
কোর্ট বলছে, ‘এমটিপি আইনে বিবাহিত ও অবিবাহিত মহিলাদের মধ্যে কোনও প্রভেদ করা উচিত নয়।’ আদালত তার রায়ে সাফ জানিয়েছে, ‘ধর্ষণ হল ইচ্ছার বিরুদ্ধে সঙ্গম। ঘনিষ্ঠ সময়ে সঙ্গীর দ্বারা হিংসার নামান্তর। এই পরিস্থিতিতে মহিলারা গর্ভবতী হতে পারেন।’ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, এএস বোপান্না, জেপি পারদিওয়ালার একটি বেঞ্চ এদিন এমটিপি অ্যাক্ট বা ‘মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি’ সংক্রান্ত আইন নিয়ে রায় দিতে গিয়ে জানিয়েছে, এই আইনের আওতায় ধর্ষণের মধ্যে স্বামীর দ্বারা বলপূর্বক স্ত্রীর গর্ভবতী হয়ে ওঠাও পরিগণিত হতে চলেছে। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, ‘অবাঞ্ছিত গর্ভাবস্থা থেকে মহিলাদের বাঁচানো দরকার। বলপূর্বক কোনও ঘটনার জেরে গর্ভবতী হয়ে পড়াও ধর্ষণ।’ ভারতে সংস্কৃত ভাষায় কতজন কথা বলতে পারেন জানেন?
বেঞ্চ সাফ জানিয়েছে, এমনকি একজন অবিবাহিত মহিলাও গর্ভবতী অবস্থায় ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভপাত করার অধিকার পাবেন। যা বিবাহিত মহিলাদের সমান। উল্লেখ্য, গর্ভপাতের আইনের ক্ষেত্রে দিল্লি হাইকোর্টের যে রায় এসেছিল তাকে কার্যত সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট বলছে, ‘অবিবাহিত মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকার কেড়ে নেওয়ার কোনও ভিত্তিই নেই। যখন সেই অধিকার রয়েছে বাকি মহিলাদের।’ এছাড়াও আদালত মনে করিয়ে দেয় যে আর্টিক্যাল ২১ এর আওতায় একজন মহিলার গর্ভবতী হওয়াও তাঁর অধিকারের থেকে কেউ কেড়ে নিতে পারে না। কোর্ট বলছে, কোনও মহিলাকে তাঁর গর্ভপাতের অধিকার কেড়ে নেওয়া মানে তাঁর স্বাধীনতা ও সায়াত্ত্ব কেড়ে নেওয়া।