বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগে এবার বিরাট কোপ। বাতিল হবে ৬ হাজার ৫০১জনের নিয়োগ। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে যারা উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তাদের জন্য এবার বড় ধাক্কা।
ঢাকা ট্রিবিউনের খবর অনুসারে জানা গিয়েছে, চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ৬৫০১ জন সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিলের রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি ফতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, এর আগে ৩০জন চাকরিপ্রার্থীর করা একটি রিট পিটিশনের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল সহ আদেশ দিয়েছিল। আদেশে নিয়োগ প্রক্রিয়া ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল। এর ফলে ৬৫০১ জন উত্তীর্ণ প্রার্থীর নিয়োগ আটকে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেই রুলের উপর রায় সামনে এসেছে।
এদিকে কালের কণ্ঠ সংবাদমাধ্য়মের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূডা়ন্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগের কার্যক্রম বাতিল করেছে হাইকোর্ট। এদিকে এই রায় সামনে আসার পরেই ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণরা নানা ধরনের স্লোগান দিতে শুরু করেন।
এমনকী হাইকোর্টের বেঞ্চের সামনে থাকা পুলিশকে সরিয়ে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে পুলিশ ও আইনজীবীদের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা এলাকা থেকে সরে যান।
এদিকে বাংলাদেশে ফের শুরু হয়েছে ধ্বংসলীলা। বুধবার থেকে তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে শেখ হাসিনার বিরোধীরা। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় বাড়ি। ঐতিহাসিক বাড়িটিকে পুরোপুরি ধসিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্রেফ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম যমুনা টিভির পোস্ট করা ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে জয়োচ্ছ্বাসের ধ্বনি হিসেবে ধানমন্ডি ৩২-তে ‘ইদ মোবারক’ স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। হাতে বাংলাদেশের পতাকাও দেখা গিয়েছে। সেই ভিডিয়ো দেখে এক বাংলাদেশি ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেছেন, 'শেখ হাসিনা চলে গিয়েছেন। কিন্তু স্বৈরাচারের আচরণ রেখে গিয়েছেন এসব সমন্বয়কদের মধ্যে।' অপর এক বাংলাদেশি নেটিজেন বলেন, ‘কথা ছিল দেশ গড়বে। ছয় মাস ধরে দেশ ভাঙাই শেষ হয়নি।’
এসবের মধ্য়েই এবার বাতিল হল ৬ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ।