দুর্ঘটনা বিমা পাওয়ার ক্ষেত্রে বছরের পর বছর ঘুরে জুতো ক্ষয়ে যায় অনেকের। এবার সেই বিমা পাওয়ার ক্ষেত্রে আরও গতি আনার উদ্যোগ। কেন্দ্রীয় সরকার ও বিমা কোম্পানি মোটামুটি একমত হয়েছে যে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে এই বিমা পাওয়ার ক্ষেত্রে গতি আনা হবে। বিমা পাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ মাস তিনেক সময় লাগবে। গত সপ্তাহে এমনটাই জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
সূত্রের খবর, মোটর অ্যাক্সিডেন্ট ক্লেম ট্রাইবুনালে প্রচুর মামলা বকেয়া থেকে গিয়েছে। এমনও পরিস্থিতি হয়েছে যে তিন বছর ধরে ট্রায়ালই চলছে। প্রায় ৬৫০টি কেসের ক্ষেত্রে এই পরিস্থিতি হয়েছে। প্রায় দুদশক ধরে এই টালবাহানা চলছে। অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল জয়ন্ত সুদ এনিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করে জাস্টিস সঞ্জয় কিষান কৌল ও এমএম সুন্দরেশের বেঞ্চের সামনে পেশ করেছিলেন। গত ২৬শে অক্টোবর এই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে পরবর্তী শুনানি হলে ১৬ই নভেম্বর।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল মোটর অ্যাক্সিডেন্ট ক্লেম নিয়ে একেবারে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ন্যায় বিচার পাওয়ার যে ব্যবস্থা সেটাকেই অবরুদ্ধ করে ফেলছে। এদিকে এরপর শুধু এই বিমা পাওয়ার ক্ষেত্রে গতি আনাই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি ক্ষতিপূরণও যাতে দ্রুততার সঙ্গে পায় সেটাও দেখা হবে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, মধ্যস্থতাকারী সেল অথবা অনলাইন ডিসপিউট সেন্টার ৩০দিনের মধ্য়ে ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করবে। তবে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী এই রিপোর্টের সঙ্গে একমত নাও হতে পারেন। তবে যদি আবেদনতকারী মোটামুটি সমঝোতায় আসেন তবে মিডিয়েশন সেলের রিপোর্ট অনুসারে দুপক্ষের সম্মতিতে অর্ডার পাশ হবে ও মামলা বন্ধ করে দেওয়া হবে।