হায়দরাবাদে ৬ বছরের আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুন করার অভিযোগ উঠেছিল ৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে তেলেঙ্গানার ওয়ারেঙ্গাল জেলায় ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশের তরফে দাবি করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে এনকাউন্টারের আতঙ্কেই কি সে এই চরম পথ বেছে নিয়েছিল? অভিযুক্ত রাজুর ছিন্নবিচ্ছিন্ন দেহ পাওয়া গিয়েছে রেললাইন থেকে। তার ডান হাতে থাকা একটি ট্যাটুর ছবি আগেই বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়েছিল পুলিশ। সেই ট্যাটু দেখেই তাকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তেলেঙ্গানার আইটি মন্ত্রী কেটি রামারাও বলেন, পুলিশ জানিয়েছে ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবকের দেহটি রেললাইনের উপর থেকে পাওয়া গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর , গত ৯ই সেপ্টেম্বর ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ উঠেছিল। এরপরই সে গা ঢাকা দেয়। পুলিশ তার খোঁজে একেবারে সংগঠিত তল্লাশিও চালাচ্ছিল।তবে কী এনকাউন্টারের আতঙ্কেই রেললাইনে ঝাঁপ দিয়েছিল অভিযুক্ত? এদিকে হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার অঞ্জনি কুমার বুধবারই জানিয়েছিলেন অভিযুক্তের খোঁজ দিতে পারলে তাকে ১০ লক্ষ টাকা পুরষ্কার দেওয়া হবে। পুলিশও অভিযুক্তের খোঁজে ৯টি স্পেশাল টিম তৈরি করে তল্লাশি শুরু করেছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের হাতে ট্যাটু আঁকা ছিল। তাতে লেখা ছিল মৌনিকা। সেই ট্যাটুর কথাও পুলিশ আগেই জানিয়েছিল। ওই ব্যক্তি সাধারণত বাস স্ট্যান্ড, ফুটপাতে শুয়ে থাকত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। গত ৯ই সেপ্টেম্বর সইদাবাদ এলাকা থেকে ওই কিশোরী নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে তার দেহ অভিযুক্ত রাজুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল। পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে জানা যায় তাকে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। মৃত কিশোরীর পরিবারকে সরকার ২০ লাখ টাকা সহায়তা করে। দু কামরার একটা বাড়ি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল সরকার।