তামিলনাড়ুর কৃষ্ণগিরিতে ভুয়ো এনসিসি ক্যাম্পে একাধিক ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় আত্মঘাতী হল অন্যতম অভিযুক্ত শিবারামণ। জানা গিয়েছে, ইঁদুরের বিষ খেয়েছে সে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই তার মৃত্যু হয়। ইঁদুরের বিষ খাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেই তাকে চিকিৎসার জন্য সালেম সরকারি মোহন কুমারমঙ্গলম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই আজ ভোরে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে নবমের ছাত্রীকে ধর্ষণ, অপমানে অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যা, গ্রেফতার যুবক
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই মামলায় গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে প্রথমে ১৬ অগস্ট ইঁদুরের বিষ খেয়েছিলেন। কিন্তু, তাতে কাজে না হয় ফের ১৮ তারিখে ইঁদুরের বিষ খায়। গ্রেফতারের ভয়ে তিনি ইঁদুরের বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হতে চেয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। যদিও শেষমেষ শিবারামণকে ১৯ অগস্ট সোমবার ভোরে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সময় পুলিশের হাত থেকে পালানোর সময় পড়ে গিয়ে সে আহত হয়। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের পর কৃষ্ণগিরির সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আনা নিয়ে যায়। পুলিশ সুপার পি থাঙ্গাদুরাই জানান, মেডিক্যাল পরীক্ষার সময় তার শরীরে বিষ পাওয়া যায়। পরে সে পুলিশকে বিষ খাওয়ার কথা জানায়।
চিকিৎসকরা রক্ত পরীক্ষা এবং অন্যান্য পরীক্ষা করে জানতে পারেন যে অভিযুক্ত দু'দিন আগে বিষ খেয়েছিলেন। এরপরেই তাকে ডায়ালাইসিসের জন্য তাকে সালেম সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে তার ডায়ালাইসি চলছিল। পরে তাকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। পুলিশ সুপার জানান, শিবারামণ এক মাস আগেও ইঁদুরের বিষ খেয়েছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, শিবারামণ বিবাহিত ছিল এবং তার তিন বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। এদিকে, শিবরামনের বাবা অশোক কুমার বৃহস্পতিবার রাতে কাভেরিপট্টিনামে বাড়িতে পড়ে গিয়ে মারা যান। পুলিশ সুপার জানান, তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। এটি নিছকই দুর্ঘটনা। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই।
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণগিরির এক বেসরকারি স্কুলে এনসিসি ক্যাম্প করার প্রস্তাব দিয়েছিল একটি সংস্থা। সেইমতো ৩ দিনের জন্য ওই সংস্থাকে ক্যাম্প আয়োজনের অনুমতি দেয় স্কুল। তাদের স্কুলের বহু ছাত্রী অংশ নেয়। মেয়েদের জন্য থাকার ব্যবস্থাও করা হয়। অভিযোগ, সেই ক্যাম্পেই মেয়েদের যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ করা হয়।