সাংবাদিকের কপালে ছিল না টিপ। এই কারণেই তাঁর প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার করলেন এক সমাজকর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়াতে ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। কট্টর ডানপন্থী সমাজকর্মী সম্ভাজি ভিন্ডের বিরুদ্ধে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে খারাপ আচরণ করার অভিযোগ ওঠে। এই আবহে রাজ্য মহিলা কমিশন ভিন্ডেকে নোটিশও পাঠিয়েছে।
সম্ভাজি ভিন্ডে বলেন, ‘সব মহিলারাই ভারত মাতার মতো। এবং ভারত মাতা বিধবা নন।’ প্রসঙ্গত, মহিলা সাংবাদিক কপালে টিপ না পরায় তাঁকে ‘বিধবা’র সঙ্গে তুলনা করেন ভিন্ডে। জানা গিয়েছে, গতকাল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের সঙ্গে দেখা করে বের হচ্ছিলেন ভিন্ডে। সেই সময় তাঁকে প্রশ্ন করেন ‘সাম টিভি’র সাংবাদিক। তবে তাঁর প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার করেন ভিন্ডে। সেই ঘটনা ক্যামেরাবন্দি হয়।
পরে এই ঘটনা নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন সেই সাংবাদিক। তিনি টুইট বার্তায় লেখেন, ‘আমরা মানুষকে তাদের বয়সের জন্য সম্মান করি। কিন্তু মানুষকেও সেই সম্মান পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। আমি টিপ পরব কি পরব না এটা আমার ব্যক্তিগত পছন্দ। এটাই গণতন্ত্র।’
এদিকে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রূপালী চাকাঙ্কর ভিন্ডের মন্তব্যের নিন্দা করে বলেন, ‘এই সমাজকর্মীর মন্তব্য একজন মহিলার গর্ব এবং সামাজিক মর্যাদার জন্য অবমাননাকর। একজন মহিলাকে তাঁর কাজের জন্য চেনা উচিত।’ সোনালি চাকাঙ্কর আরও জানান, রাজ্য মহিলা কমিশন আইন, ১৯৯৩-এর ১২(২) এবং ১২(৩) ধারার অধীনে ভিন্ডেকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে নোটিশে।