সোনা পাচারের অভিযোগে সম্প্রতি বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হয়েছেন জনপ্রিয় কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাও। বর্তমানে তিনি বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। এই মামলার তদন্তে প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে। অভিনেত্রী রান্যা রাও ডিপার্টমেন্ট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের কাছে দাবি করেছেন, দুবাই থেকে বেঙ্গালুরুতে এই প্রথবার সোনা পাচারের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তবে তদন্তকারীদের দাবি, কমপক্ষে ৪৫ বার বিদেশ ভ্রমণ করে কোটি কোটি সোনা পাচার করেছেন তিনি। আর সোনা পাচারের কৌশল শিখেছেন ইউটিউব ভিডিয়ো দেখে। অভিনেত্রী তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, কীভাবে সোনার বার লুকিয়ে রাখতে হয় তা ভিডিয়ো দেখে তিনি শিখেছিলেন। তিনি আরও দাবি করেন, পাচারের চেষ্টার আগে দু'সপ্তাহ ধরে তিনি অজানা নম্বর থেকে ফোন আসছিল তাঁর কাছে।
আরও পড়ুন: ১৪.৮ কেজি সোনা পাচারের সময় IPS বাবার নামে গ্রেফতারি এড়াতে চেয়েছিলেন অভিনেত্রী, কী করে পড়লে ধরা?
অভিনেত্রী তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, সোনা দু'টি প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোড়ানো ছিল। সেগুলি বিমানবন্দরের টয়লেটে গিয়েছে তাঁর শরীরে বেঁধে লুকিয়ে রেখেছিলেন। এছাড়াও, জিন্স এবং জুতোর মধ্যে সোনা লুকিয়ে রেখেছিলেন। তিনি দাবি করেছেন, এই প্রথম সোনা পাচারের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। এর আগে তিনি কখনও দুবাই থেকে সোনা আনেননি বা কেনেননি। উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ কর্ণাটকের ডিজিপি কে রামচন্দ্র রাওয়ের সৎ কন্যা রান্যা রাও বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে ১৪.২ কেজি সোনা পাচারের চেষ্টা করার সময় ধরা পড়েন, যার বাজার দর প্রায় ১২.৫৬ কোটি টাকা। তাঁর সারা শরীরে সোনার বিস্কুটগুলি লুকিয়ে রাখা ছিল। রান্যা রাও জানিয়েছেন, দুবাই বিমানবন্দরে ক্রেপ ব্যান্ডেজ এবং কাঁচি কিনেছিলেন। সোনার বার শরীরে বাঁধার জন্য তিনি এই ব্যান্ডেজ ব্যবহার করেছিলেন।
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, গত ১ মার্চ একটি বিদেশি নম্বর থেকে একটি ফোন এসেছিল তাঁর কাছে। তাঁকে ফোন করে দুবাই বিমানবন্দরের টার্মিনালের ৩ নম্বর গেটে যেতে বলা হয়েছিল। দুবাই বিমানবন্দর থেকে সোনা নিয়ে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছে দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে।
এজেন্সির দাবি, এই ঘটনায় সরকারি আধিকারিকরাও যুক্ত। তাদের সাহায্যেই অভিনেত্রী অনায়াসে এয়ারপোর্ট চেকিং পাশ করে যেতেন। ডিআরআইয়ের হিসাব অনুযায়ী কম পক্ষে ৪ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছেন অভিনেত্রী। আপাতত রান্যা রাওকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।