গৌতম আদানির নেতৃত্বাধীন আদানি গ্রুপ এবং মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ একে অপরের থেকে প্রতিভাবান কর্মী ছিনিয়ে না নেওয়ার জন্য চুক্তি করেছে বলে জানা গিয়েছে। এমনিতেই প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবসায়ী সংগঠন একে অপরের প্রতিভাবান কর্মীদের নিজেদের দিকে টানতে চায়। তবে সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার পথে হাঁটবে না আম্বানি এবং আদানিরা।
1/4বিজনেস ইনসাইডারের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাস থেকেই কার্যকর হয়েছে দুই গোষ্ঠীর ‘নো-পোচিং’ চুক্তি। এই চুক্তি আম্বানি এবং আদানির মালিকানাধীন সকল সংস্থার ক্ষেত্রে প্রোযজ্য হবে। উল্লেখ্য, দুই ধনকুবেরেরই ব্যবসা ছড়িয়ে অনেক ক্ষেত্রে। অনেক খাতেই তাঁরা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী।
2/4আদানি গ্রুপ মূলত বিদ্যুৎ, বন্দর, বিমানবন্দর, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি এবং সৌর শক্তি সেক্টরে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে। এদিকে আদানি গ্রুপ সম্প্রতি পেট্রোকেমিক্যাল সেগমেন্টে প্রবেশ করেছে। এই খাতে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ শীর্ষে রয়েছে বর্তমানে। এদিকে আম্বানির ভায়াকম মিডিয়া ব্যবসায় দীর্ঘদিনের খেলোয়াড়। একাধিক টিভি চ্যানেলের মালিক আম্বানির রিলায়েন্স গোষ্ঠী। পাশাপাশি সিনেমাতে বিনিয়োগ করে ভায়াকম। এদিকে আদানি সম্প্রতি এনডিটিভি শেয়ার নিজের নামে করেছেন। সংস্থার রাশ নিজের হাতে নিতে এনডিটিভির আরও শেয়ার কিনতে কোমর কষছেন গৌতম আদানি। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স)
3/4এদিকে খুচরো পণ্যের ব্যবসায় আদানি এবং আম্বানি নিজেদের জমি শক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সম্প্রতি খুচরো ব্যবসার প্রসার ঘটাতে ৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বিনিয়োগ লাভ করেছে আইপিও-র মাধ্যমে। অপরদিকে রিলায়েন্সও খুচরো ব্যবসায় নিজেদের প্রসার ঘটানোর নীল নকশা তৈরির ঘোষণা করেছে। মুকেশ আম্বানির মেয়ে সেই প্রোজেক্টের দায়িত্বে থাকবেন। ফাইল ছবি : রয়টার্স
4/4এদিকে সম্প্রতি গৌতম আদানি বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি হয়েছেন। মুকেশ আম্বানিকে পিছনে ফেলে নিজের মুকুটে এই পালক জুড়েছেন আদানি। আদানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৫,৩৫০ কোটি ডলার। এদিকে বর্তমানে মুকেশ আম্বানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৯,১৪০ কোটি ডলার। বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় বর্তমানে অষ্টম স্থানে আছেন আম্বানি। প্রতীকী ছবি: হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা