একের পর এক নতুন খাতে বিনিয়োগ করছেন গৌতম আদানি। ক্রমেই আরও ব্যবসা বাড়াচ্ছেন এশিয়ার সবচেয়ে ধনীতম ব্যক্তি। আর সেই প্রসঙ্গে এল আরও এক বড় খবর। আদানি এন্টারপ্রাইজের নতুন বিনিয়োগ পরিকল্পনার বিষয়ে জানেন? আদানি গ্রুপের একটি অংশ আদানি এন্টারপ্রাইজ। ওড়িশায় একটি অ্যালুমিনা শোধনাগার স্থাপনের পরিকল্পনা করছে সংস্থা। আদানি গ্রুপের এই প্ল্যান্টকে ইতিমধ্যেই সবুজ সংকেত দিয়েছে নবীন পট্টনায়ক সরকার। যদিও, এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে আদানি এন্টারপ্রাইজেস কোনও বিবৃতি দেয়নি।
বিনিয়োগ করা হবে ৪১ হাজার কোটি টাকা
আদানি গ্রুপকে রায়গাদা জেলায় শোধনাগার স্থাপনের জন্য রাজ্য সরকার অনুমোদন দিয়েছে। পুরো প্রকল্পটি ৪১ হাজার কোটি টাকা বা ৫.২ বিলিয়ন ডলারের হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তথ্য অনুযায়ী, এই প্ল্যান্টের মোট ধারণ ক্ষমতা হবে ৪ মিলিয়ন টন।
গৌতম আদানি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মুন্দ্রায় অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেড কোম্পানি গঠন করেন। এই সংস্থা থেকে তাঁদের পরিকল্পনা বেশ স্পষ্ট। এই সেক্টরে বর্তমানে আদিত্য বিড়লা গ্রুপ এবং লন্ডনের বেদান্ত রিসোর্সেস লিমিটেডের মতো বড় কোম্পানিগুলির আধিপত্য রয়েছে। গৌতম আদানিও এবার সেই সাম্রাজ্যে ভাগ বসাবেন। এমনিতেও ক্রমেই এগিয়ে চলেছে তাঁর অশ্বমেধের ঘোড়া। বিমানবন্দর, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, ডেটা সেন্টার, বন্দর এবং কৃষি ব্যবসা, ৫জি-র মতো খাতে আধিপত্য বিস্তার করছেন তিনি।
সিমেন্ট শিল্পে রাতারাতি বাজার দখল
সাধারণ মানুষ ব্যবসা বলতে কী ভাবেন? ধীরে ধীরে শুরু হবে। পরিচিতি বাড়বে। পুঁজি বাড়বে। সেটা ফের বিনিয়োগ হবে। আস্তে আস্তে সংস্থার বাজারে পরিচিতি বাড়বে।
কিন্তু সেটা তো আমজনতার ভাবনা। গৌতম আদানির স্টাইল-ই আলাদা।
সিমেন্ট ব্যবসার জগতে আদানি গোষ্ঠী রাতারাতি বাজার দখল করে নিয়েছে। হলসিম লিমিটেডকে কিনে নিয়েছেন আদানি। আর তার ফলেই এক ধাক্কায় সেই সেক্টরের বিশাল বাজার দখল করে নিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। একইভাবে অন্যান্য সেক্টরেও তাঁর দৃষ্টি স্থির।
আদানি গ্রুপ এক বছর আগেই সিমেন্টের একটি সহায়ক সংস্থা গঠন করেছিল। এখন তাঁর চোখ মেটাল সেক্টরের দিকে। চলতি বছরের শুরুতেই ইস্পাত এবং তামার কারখানার বিষয়ে তাঁর ঘোষণাগুলি সেই দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আদানি গ্রুপ গুজরাটে একটি ৫,০০০ টন তামা শোধনাগার কমপ্লেক্স তৈরি করবে। এর আগে আদানি গোষ্ঠী জানুয়ারিতে, দক্ষিণ কোরিয়ার ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান পস্কোর সঙ্গে অংশীদারিত্বের ঘোষণা করে। একসঙ্গে, উভয় সংস্থাই ভারতে ইস্পাতের ব্যবসায় প্রবেশ করছে।